Saturday 30 October 2021

যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ৫


যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ৫

--------------------------------------------------


পবিত্রজন কাপুরুষ হন না | কাপুরুষ পবিত্র হন না | এটি এক স্বতঃসিদ্ধ সত্য | ভক্তির আড়ালে ভয় থাকলে ঠাকুরের ভক্ত হওয়া যায় না কারণ তিনি বলেছেন, "লজ্জা, ঘৃণা, ভয় -- এ তিন থাকতে নয় |" সত্যস্বরূপ ঠাকুর নির্ভীক নরেন্দ্রকে তাই তাঁর বার্তাবহরূপে এনেছিলেন কারণ তিনি জানতেন জগতে সনাতন সত্য প্রচার ও লোকমানসে তা প্রতিষ্ঠা করতে একমাত্র অকুতোভয়, সত্যনিষ্ঠ, জিতেন্দ্রিয় পুরুষই পারেন | এ কর্ম ভীরু কাপুরুষের নয়, প্রতিষ্ঠিত মিথ্যার সাথে আপোসকারীর নয় |


সাধুজনের পরিত্রাণ, দুষ্কৃতীর বিনাশ ও ধর্মসংস্থাপনের জন্য অবতারের আবির্ভাব ঘটে | এ সহজসাধ্য মিশন নয় যে সাধারণ মানুষে সংসাধন করবেন | এ যুগপরিবর্তনের মহাযজ্ঞ | তাই মহাশক্তির প্রকাশ দিব্য অবতরণে | সত্য ও শক্তি -- এই দুইয়ের যুগ্ম অবস্থান অবতার-আধারে | রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সেই যুগ্মগুণের যৌথপ্রকাশ | শ্রীরামকৃষ্ণকে যদি দেবমানবদেহে সত্যের প্রতিভূ বলা যায়, তো স্বামী বিবেকানন্দকে মহাশক্তির বিকিরণকেন্দ্র বলা চলে |


অতএব, সত্য ও শক্তি -- এই দুটি হল মুখ্য উপাদান অবতারলীলায় ; সত্যপ্রতিষ্ঠা শক্তিসহায়ে | কিন্তু ইতিহাস তো বিবর্তনসাপেক্ষ, ইচ্ছামত গড়া যায় না | তাই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে কর্ম করতে হয় | এইখানেই এসে পড়ে আপোস | আর যদি মনুষ্যসমাজের অবস্থান্তর ঘটাতে খোদ অবতারকেই পরিস্থিতির সাথে কতকটা মানিয়ে কর্মসম্পাদন করতে হয় তো তৎপরবর্তি তাঁর অনুগামীদের কা কথা ? তাঁরা কেমন করে জগতের এই জতুগৃহে অকপট সত্যভাষণ করবেন যেখানে সামান্যতম বাকস্ফুলিঙ্গে মুহূর্তমাত্রে দাবানল জ্বলে উঠতে পারে সমাজের বুকে ? কেমন করে তাঁরা বর্বর সমাজে সেই বর্বরতার আদি কারণ জ্ঞাপন করবেন সর্বসমক্ষে ভীষণ অগ্নিসংযোগ না করে ? যে বর্বরতা তলোয়ারের আগায় প্রচারিত হয়েছিল অগণিত মানুৃষের শোণিতস্নানে শত শত বর্ষ ধরে, যা তাঁদের ধমনীতে আজ বহমান নিত্যস্মৃত অসহিষ্ণু, হিংসাত্মক ভাবরূপে, কেমন করে তার বজ্রবাহুর পেষণ হতে মানুষকে নিষ্কাশিত করবেন অবতারের অনুগামীরা স্বল্পসত্যের মৃদুসম্ভাষণের দ্বারা ?


অপশক্তির মোকাবিলা তো শুভশক্তির বলিষ্ঠ প্রয়োগই পারে করতে, মৃদুভাষণের তো তা কর্ম নয় | সুতরাং, জগতের জটিল পরিস্থিতিতে যেমন যথেচ্ছ বাক্যপ্রয়োগের দ্বারা সংঘাত বাড়বে বই কমবে না, তেমনই সত্যগোপনের দ্বারাও সমস্যার সমাধান হবে না | উপায় সুখপ্রদ মধ্যপন্থা অবলম্বনও নয় | উপায় সত্যজ্ঞাপন প্রিয় করে, মিথ্যার শুভ্রবস্ত্রে বর্বরতার কলুষকে আবৃত করার প্রচেষ্টায় নয় | উপায় বর্বরতার সত্যকে ধীর পদক্ষেপে অনাবৃত করা ঐতিহাসিক সত্য বিবরণের মধ্য দিয়ে | উপায় বর্বর তত্ত্বের আকর গ্রন্থপাঠ, তার সম্বন্ধে সম্যক পরিচিতি ও তার সুশিক্ষিত, রুচিসম্পন্ন, মার্জিত প্রচার গণমাধ্যমে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে | আর সর্বোপরি উপায় এই মিথ্যাভাষণ বন্ধ করা যে ও তত্ত্ব বর্বরতা তো নয়, ও দিব্যপুরুষের দিব্যপ্রেমের দিব্যতত্ত্ব মানুষের উদ্ধারকল্পে | বৈরীভাবাপন্ন সম্প্রদায়ের সাথে যথার্থ সম্প্রীতি বেদান্তসত্যের যথার্থ ভিত্তিভূমির ওপরই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কালক্রমে, তাঁদের ধর্মান্ধতাকে ভ্রাতৃত্বের নাম দিয়ে নয় | মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী এবং তাই ঘটছে তাঁদের সাথে যাঁরা বর্বরতাকে ঢাকছেন অনৃতভাষণের দ্বারা | তাই হিন্দুর আজ এই হাল, এই চূড়ান্ত বিপর্যয় মুসলমানের হাতে পদে পদে যেখানেই সে সংখ্যালঘু |


পঞ্চম অধ্যায়ের সমাপ্তি | ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে |


ক্রমশঃ


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

Friday 29 October 2021

যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ৪


যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ৪

--------------------------------------------------


শ্রীরামকৃষ্ণ ও তৎপূর্ববর্তী ভারতীয় মুনিঋষিরা সনাতন ধর্মের যে উচ্চ আধ্যাত্মিক আদর্শ জগতে স্থাপন করেছেন তা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যযুগের ধর্মমতগুলির মধ্যে পাওয়া যায় না | এব্রাহ্যাম সূচিত জুডীয়ধর্ম (Judaism), যীষুখ্রীষ্ঠ প্রবর্তিত খ্রীষ্ঠধর্ম (Christianity) ও মুহম্মদ প্রচারিত ইসলামধর্ম (Islam) -- এই তিনটি ধর্মেই ব্রহ্মজ্ঞান, আত্মজ্ঞান, মোক্ষ, মুক্তি, নির্বাণ, অনাহত ওঁঙ্কারধ্বনি, কর্মবাদ, পুনর্জন্ম, ষড়চক্র, সপ্তভূমি, কুলকুণ্ডলিনীশক্তি ইত্যাদি তত্ত্বের কোনও উল্লেখ নেই | মধ্যপ্রাচ্যের এই তিনটি ধর্মকে সেমিটিক ধর্ম (Semitic Religions) ও এব্রাহ্যামিক ধর্ম (Abrahamic Religions) বলা হয় | বর্তমান আলোচনা সীমিত রাখব শুধু ইসলামধর্মের মধ্যে |


শ্রীরামকৃষ্ণ ইসলামধর্ম সাধন করে সিদ্ধিলাভ করলেন | সে সিদ্ধি মাত্র তিন দিনে সিদ্ধ হল কারণ তাঁর ক্ষেত্র ছিল অধ্যাত্মসিদ্ধির জন্য প্রস্তুত | অদ্বৈতজ্ঞানলাভের পর দ্বৈতভূমিতে নেমে এসে এ সাধনা | তাই আন্তরিক হলেও, অনায়াস | কিন্তু কি সেই সিদ্ধির উপলব্ধি ?


'ইসলামধর্মসাধনকালে ঠাকুর প্রথমে এক দীর্ঘশ্মশ্রুবিশিষ্ট, সুগম্ভীর, জ্যোতির্ময় পুরুষপ্রবরের দিব্যদর্শন লাভ করিয়াছিলেন। পরে সগুণ বিরাট ব্রহ্মের উপলব্ধিপূর্বক তুরীয় নির্গুণ ব্রহ্মে তাঁহার মন লীন হইয়া গিয়াছিল।' -- [ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ ]


কুরানে বর্ণিত আল্লার সাথে কি সনাতন ধর্মের সগুণ তথা নির্গুণ ব্রহ্মের কোনও সাদৃশ্য আছে ? হিন্দু তাঁর বদান্যতাহেতু সাদৃশ্য খোঁজেন কিন্তু মুসলমান তা মানেন না | অতএব, বহিরাঙ্গ দৃষ্টি দিয়ে দেখলে বলা যেতে পারে যে শ্রীরামকৃষ্ণ ইসলামধর্ম সাধন করে যে আধ্যাত্মিক অনুভূতিস্বরূপ ফললাভ করলেন তা সনাতন ধর্মেরই দ্বৈত, বিশিষ্টাদ্বৈত ও অদ্বৈতবাদের অনুভূতি | শ্রীরামকৃষ্ণের ধর্মবুদ্ধি অবৈদিক ধর্মমতগুলির মধ্যেও সনাতন ধর্মের সত্যকেই পেয়েছিল যা আদপে ওসব অবৈদিক ধর্মের আকর গ্রন্থের অন্তর্গত তত্ত্বের সাথে মেলে না |


শ্রীরামকৃষ্ণ কলকাতার চিড়িয়াখানায় সিংহ দেখে তাঁর দেবীদূর্গার বাহনের কথা স্মরণ হওয়ায় দেবীর ভাবে সমাধিস্থ হন | একই ভাবে ময়দানে ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিমায় দণ্ডায়মান ইংরেজ কিশোরকে দেখে ত্রিভঙ্গমুরারি শ্রীকৃষ্ণের স্মরণে তিনি সমাধিস্থ হন | এরকম অজস্র অবস্থায় তিনি সমাধিস্থ হন জীবনে | সমাধিস্থ হওয়া তাঁর কাছে ছিল নিশ্বাসপ্রশ্বাসের ন্যায় সহজসিদ্ধ | উপরোক্ত দুই ঘটনার উদাহরণ থেকে কি আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হব তাহলে যে শ্রীরামকৃষ্ণ 'সিংহধর্ম' ও 'ইংরেজধর্ম' পালন করেছিলেন ও ঐ দুই ধর্মে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধিলাভ করে তার যাথার্থ প্রমাণ করেছিলেন ? নাকি আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হব যে ভাবমুখে অবস্থিত শ্রীরামকৃষ্ণ যে কোনও বস্তু হতেই উদ্দীপিত হয়ে তাঁর স্বভাবসুলভ সনাতন ধর্মবোধেই ফিরে গেছেন ও সনাতন ধর্মের যাথার্থেরই প্রমাণ রেখেছেন তাঁর সর্ব অনুভূতি ও উপলব্ধির দ্বারা ?


অর্থাৎ, শ্রীরামকৃষ্ণের একটি সুফী সম্প্রদায়ের সাধনপ্রণালী অবলম্বন করে সাধনা ও সিদ্ধিলাভ কি আদি ও অপরিবর্তিত কুরানভিত্তিক ইসলামের তত্ত্বগত অথবা ব্যবহারগত যাথার্থ কোনোভাবে প্রমাণ করে ? মৃত্যুর পর না তিনি কোনও কবরে গোর হলেন না কোনও আল্লা তাঁর পার্থিবকর্মের বিচার করবেন ও সৎকর্মের জন্য জন্নতে ভোগসুখ সম্পাদন করার জন্য স্থান দেবেন বলে আশা করতেন তিনি যিনি ছিলেন নির্বাসনার মূর্ত বিগ্রহ | কলমা পড়ে যদি বা আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ ইসলামধর্ম কবুল করেও থাকেন তো তা মোটে তিন দিনের সাধনকালের জন্য ব্যবহারগত অপরিহার্যতাহেতু কিন্তু চতুর্থ দিন হতেই আবার ইসলামে হারাম সেই দেবীবিগ্রহের আরাধনা করেছেন | অর্থাৎ, তিনি ইসলামধর্ম পরিত্যাগ করলেন মাত্র তিনটি দিন তার অধীনে থাকার পরই | যদি কুরানকথিত ইসলাম তত্ত্ব তিনি একান্তই মানতেন চূড়ান্ত সত্য বলে তাহলে তাকে পরিহার করতে পারতেন কি তিনি ? কারণ শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন একান্ত সত্যনিষ্ঠ | তিনি কখনই সত্যকে পরিহার করতে পারতেন না | কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তা ত্যাগের মাধ্যমে তিনি তা অবলীলায় পারলেন | এর থেকে কি প্রমাণ হয় ? ইসলামের দ্বৈতবুদ্ধির আপেক্ষিক সত্যতা ঐ ধর্ম সাধনকালে সাধনার ব্যবহারিক আবশ্যকতাহেতু পূর্ণমনে স্বীকার করে নিলেও শ্রীরামকৃষ্ণ সনাতন ধর্মকেই সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন যা তাঁর উক্ত এই বাণীটিতেই পূর্ণ প্রকাশিত -- "আধুনিক ধর্ম সব আসবে যাবে, এক সনাতন ধর্ম থাকবে | তবে একেবারে যাবে না, ঐ একটু আধটু থাকবে |"


চতুর্থ অধ্যায়ের সমাপ্তি | ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে |


ক্রমশঃ


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

Thursday 28 October 2021

যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ৩




যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ৩

-----------------------------------------------------


শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর দিব্য অনুভূতির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বললেন, "যত মত, তত পথ |" পৃথিবীর মানুষ শুনল এক নতুন বাণী | রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবান্দোলনের সূচনা হল জগতে |


এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল এই যে 'যত মত, তত পথ' সনাতন ধর্মের তাত্ত্বিক দিক দিয়ে সত্য হলেও ব্যবহারিক দিক দিয়ে তা কতদূর ফলপ্রসূ বিশ্বে আজ, বিশেষতঃ ইসলাম অধিকৃত দেশে ? কতদূর এই উদার বাণীর কার্যকারিতা যখন ইসলামের শাস্ত্রগত মূল নীতি ও তত্ত্ব এই সর্বমত সহিষ্ণুতা ও পরস্পর পরস্পরের ভাবগ্রহণের বিরোধী ? ইসলাম একমাত্র নিজেকেই সর্বোৎকৃষ্ট, নিখুঁত ধর্ম বলে ঘোষণা করে, কুরানকে আল্লাহ্'র বাণী বলে সমস্ত মানবজাতির ওপর বাধ্যতামূলক আরোপ করতে প্রবৃত্ত হয় ও মুহম্মদকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর বলে চিহ্নিত করে | ইসলামের এই বিচারে সনাতন ধর্ম তথা পৃথিবীর অন্যান্য ধর্ম আংশিক অথবা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত, হিন্দুধর্মের বিগ্রহপূজা যা শ্রীরামকৃষ্ণ করতেন, তা ভ্রান্ত ও, যেহেতু মুহম্মদ-পরবর্তি আবির্ভাব শ্রীরামকৃষ্ণের, অতএব তিনি সামান্য মানুষমাত্র, পয়গম্বর নন, অবতার তো ননই কারণ ইসলাম অবতারতত্ত্ব মানে না ও আল্লাহ'র আসনে আর কাউকে স্থান দেয় না | কুরান ও হাদীস অনুযায়ী শ্রীরামকৃষ্ণের ইসলাম সাধনা নাজায়েজ্ কারণ তিনি ইসলাম ধর্মে আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মান্তরিত নন, সেই সাধনার পর তিনি পুনঃ বিগ্রহ পূজা করেছেন যা ইসলামে গর্হিত অপরাধ ও তাঁর ইসলাম ধর্মসাধনার পর উপলব্ধি সনাতন ধর্মের সাথে মেলে, কুরানে কথিত তত্ত্বের সাথে বিশেষভাবে নয় |


সনাতন ধর্মের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক সিদ্ধান্ত অদ্বৈতজ্ঞান | অদ্বৈত অনুভূতিই সনাতন ধর্মের প্রাণ | মুক্তি, মোক্ষ আত্মার সর্বশেষ পরিণতি | ইসলামে এই অদ্বৈতজ্ঞান যা ব্রহ্মজ্ঞান অথবা আত্মজ্ঞানরূপেও কথিত, তার কোনো উল্লেখ নেই | এ তত্ত্ব ইসলামের অবিদিত যদিও আনাল হক্ বলে এর নামান্তরের কথা আমরা শুনতে পাই ইসলামী ইতিহাসে যার প্রবক্তাকে অনঐসলামীক তত্ত্বপেশের জন্য নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল |


অতএব, তিনদিনের জন্য শ্রীরামকৃষ্ণ যদিও সুফি মুসলিম গোবিন্দ রায়ের দীক্ষিত 'আল্লা' মন্ত্র জপ করেছিলেন ও ইসলামধর্মের চূড়ান্ত সাধনফল লাভ করেছিলেন বলে 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গে' বর্ণিত আছে, সেই সাধনফল আসলে কি এবং তা আদপে আদি ইসলামের সাথে মেলে কি না ? না কি তা সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক তত্ত্বের সাথে মেলে ? লীলাপ্রসঙ্গ থেকেই দেখে নেওয়া যাক | নিম্নে উদ্ধৃত হল 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ' কি বলছেন এ বিষয়ে |

--------------------------------------------------


শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ

দ্বিতীয় খণ্ড - ষোড়শ অধ্যায়: বেদান্তসাধনের শেষ কথা ও ইসলামধর্মসাধন

----------------------------------------------------


অদ্বৈতবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত ঠাকুরের মনের উদারতা সম্বন্ধে দৃষ্টান্ত - তাঁহার ইসলাম ধর্মসাধন

---------------------------------------------------


অদ্বৈতবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত হইয়া ঠাকুরের মন এখন কিরূপ উদারভাবসম্পন্ন হইয়াছিল, তাহা আমরা এই কালের একটি ঘটনায় স্পষ্ট বুঝিতে পারি। আমরা দেখিয়াছি, ঐ ভাবসাধনে সিদ্ধ হইবার পরে ঠাকুরের শরীর কয়েক মাসের জন্য রোগাক্রান্ত হইয়াছিল। সেই ব্যাধির হস্ত হইতে মুক্ত হইবার পরে উল্লিখিত ঘটনা উপস্থিত হইয়াছিল।


গোবিন্দ রায় নামক এক ব্যক্তি এই সময়ের কিছুকাল পূর্ব হইতে ধর্মান্বেষণে প্রবৃত্ত হন। হৃদয় বলিত, ইনি জাতিতে ক্ষত্রিয় ছিলেন। সম্ভবতঃ পারসী ও আরবী ভাষায় ইঁহার ব্যুৎপত্তি ছিল। ধর্মসম্বন্ধীয় নানা মতামত আলোচনা করিয়া এবং নানা সম্প্রদায়ের সহিত মিলিত হইয়া ইনি পরিশেষে ইসলামধর্মের উদার মতে আকৃষ্ট হইয়া যথারীতি দীক্ষাগ্রহণ করেন। ধর্মপিপাসু গোবিন্দ ইসলামধর্মমত গ্রহণ করিলেও উহার সামাজিক নিয়মপদ্ধতি কতদূর অনুসরণ করিতেন, বলিতে পারি না। কিন্তু দীক্ষাগ্রহণ করিয়া অবধি তিনি যে কোরানপাঠ এবং তদুক্ত প্রণালীতে সাধনভজনে মহোৎসাহে নিযুক্ত ছিলেন, একথা আমরা শ্রবণ করিয়াছি। গোবিন্দ প্রেমিক ছিলেন। বোধ হয়, ইসলামের সুফী সম্প্রদায়ের প্রচলিত শিক্ষা এবং ভাবসহায়ে ঈশ্বরের উপাসনা করিবার পদ্ধতি তাঁহার হৃদয় অধিকার করিয়াছিল। কারণ ঐ সম্প্রদায়ের দরবেশদিগের মতো তিনি এখন ভাবসাধনে অহোরাত্র নিযুক্ত থাকিতেন।


সুফি গোবিন্দ রায়ের আগমন

------------------------‐-----


যেরূপেই হউক, গোবিন্দ এখন দক্ষিণেশ্বর কালীবাটীতে উপস্থিত হয়েন এবং সাধনানুকূল স্থান বুঝিয়া পঞ্চবটীর শান্তিপ্রদ ছায়ায় আসন বিস্তীর্ণ করিয়া কিছুকাল কাটাইতে থাকেন। রানী রাসমণির কালীবাটীতে তখন হিন্দু সংসারত্যাগীদের ন্যায় মুসলমান ফকিরগণেরও সমাদর ছিল এবং জাতিধর্মনির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের ত্যাগী ব্যক্তিদিগের প্রতি এখানে সমভাবে আতিথ্য প্রদর্শন করা হইত। অতএব এখানে থাকিবার কালে গোবিন্দের অন্যত্র ভিক্ষাটনাদি করিতে হইত না এবং ইষ্টচিন্তায় নিযুক্ত হইয়া তিনি সানন্দে দিনযাপন করিতেন।


গোবিন্দের সহিত আলাপ করিয়া ঠাকুরের সঙ্কল্প

--------------------------------------------------


প্রেমিক গোবিন্দকে দেখিয়া ঠাকুর তৎপ্রতি আকৃষ্ট হয়েন এবং তাঁহার সহিত আলাপে প্রবৃত্ত হইয়া তাঁহার সরল বিশ্বাস ও প্রেমে মুগ্ধ হয়েন। ঐরূপে ঠাকুরের মন এখন ইসলামধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং তিনি ভাবিতে থাকেন, 'ইহাও তো ঈশ্বরলাভের এক পথ, অনন্ত-লীলাময়ী মা এপথ দিয়াও তো কত লোককে তাঁহার শ্রীপাদপদ্মলাভে ধন্য করিতেছেন; কিরূপে তিনি এই পথ দিয়া তাঁহার আশ্রিতদিগকে কৃতার্থ করেন, তাহা দেখিতে হইবে; গোবিন্দের নিকট দীক্ষিত হইয়া এ ভাবসাধনে নিযুক্ত হইব।'


গোবিন্দের নিকট হইতে দীক্ষাগ্রহণ করিয়া সাধনে ঠাকুরের সিদ্ধিলাভ

----------------------‐---------------------------


যে চিন্তা, সেই কাজ। ঠাকুর গোবিন্দকে নিজ অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন এবং দীক্ষাগ্রহণ করিয়া যথাবিধি ইসলামধর্মসাধনে প্রবৃত্ত হইলেন। ঠাকুর বলিতেন, "ঐ সময়ে 'আল্লা'-মন্ত্র জপ করিতাম, মুসলমানদিগের ন্যায় কাছা খুলিয়া কাপড় পরিতাম; ত্রিসন্ধ্যা নমাজ পড়িতাম এবং হিন্দুভাব মন হইতে এককালে লুপ্ত হওয়ায় হিন্দু দেবদেবীকে প্রণাম দূরে থাকুক, দর্শন পর্যন্ত করিতে প্রবৃত্তি হইত না। ঐভাবে তিন দিবস অতিবাহিত হইবার পরে ঐ মতের সাধনফল সম্যক হস্তগত হইয়াছিল।" ইসলামধর্মসাধনকালে ঠাকুর প্রথমে এক দীর্ঘশ্মশ্রুবিশিষ্ট, সুগম্ভীর, জ্যোতির্ময় পুরুষপ্রবরের দিব্যদর্শন লাভ করিয়াছিলেন। পরে সগুণ বিরাট ব্রহ্মের উপলব্ধিপূর্বক তুরীয় নির্গুণ ব্রহ্মে তাঁহার মন লীন হইয়া গিয়াছিল।


মুসলমানধর্মসাধনকালে ঠাকুরের আচরণ

-------------------------------------------


হৃদয় বলিত, মুসলমানধর্মসাধনের সময় ঠাকুর মুসলমানদিগের প্রিয় খাদ্যসকল, এমন কি গো-মাংস পর্যন্ত গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক হইয়াছিলেন। মথুরামোহনের সানুনয় অনুরোধই তখন তাঁহাকে ঐ কর্ম হইতে নিরস্ত করিয়াছিল। বালকস্বভাব ঠাকুরের ঐরূপ ইচ্ছা অন্ততঃ আংশিক পূর্ণ না হইলে তিনি কখনও নিরস্ত হইবেন না ভাবিয়া মথুর ঐ সময়ে এক মুসলমান পাচক আনাইয়া তাহার নির্দেশে এক ব্রাহ্মণের দ্বারা মুসলমানদিগের প্রণালীতে খাদ্যসকল রন্ধন করাইয়া ঠাকুরকে খাইতে দিয়াছিলেন। মুসলমানধর্মসাধনের সময় ঠাকুর কালীবাটীর অভ্যন্তরে একবারও পদার্পণ করেন নাই। উহার বাহিরে অবস্থিত মথুরামোহনের কুঠিতেই বাস করিয়াছিলেন।


ভারতে হিন্দু ও মুসলমান জাতি কালে ভ্রাতৃভাবে মিলিত হইবে, ঠাকুরের ইসলামমত-সাধনে ঐ বিষয় বুঝা যায়

-----------------------------------------------


বেদান্তসাধনে সিদ্ধ হইয়া ঠাকুরের মন অন্যান্য ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতি কিরূপ সহানুভূতিসম্পন্ন হইয়াছিল, তাহা পূর্বোক্ত ঘটনায় বুঝিতে পারা যায় এবং একমাত্র বেদান্তবিজ্ঞানে বিশ্বাসী হইয়াই যে ভারতের হিন্দু ও মুসলমানকুল পরস্পর সহানুভূতিসম্পন্ন এবং ভ্রাতৃভাবে নিবদ্ধ হইতে পারে, একথাও হৃদয়ঙ্গম হয়। নতুবা ঠাকুর যেমন বলিতেন, "হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে যেন একটা পর্বত-ব্যবধান রহিয়াছে - পরস্পরের চিন্তাপ্রণালী, ধর্মবিশ্বাস ও কার্যকলাপ এতকাল একত্রবাসেও পরস্পরের নিকট সম্পূর্ণ দুর্বোধ্য হইয়া রহিয়াছে।" ঐ পাহাড় যে একদিন অন্তর্হিত হইবে এবং উভয়ে প্রেমে পরস্পরকে আলিঙ্গন করিবে, যুগাবতার ঠাকুরের মুসলমানধর্মসাধন কি তাহারই সূচনা করিয়া যাইল?

-----------------------------------------------


তৃতীয় অধ্যায়ের সমাপ্তি | ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে |


ক্রমশঃ


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

Wednesday 27 October 2021

যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ২




যত মত, তত পথ -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ... ২

-----------------------------------------------------


বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর মুসলমানকর্তৃক দেশব্যাপী যে অকথ্য অত্যাচার হয়ে চলেছে তাতে রামকৃষ্ণ মিশন দৃপ্ত প্রতিবাদ, মানববন্ধন আয়োজন ও ত্রাণকর্ম করা সত্ত্বেও কোনও কোনও মহলে কথা উঠেছে যে তাঁদের পালিত শ্রীরামকৃষ্ণ কথিত 'যত মত, তত পথ' হিন্দুদের এই দুর্দশার জন্য কতকটা দায়ী | এই অভিযোগ এসেছে যে হিন্দুরাই এই সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাণী মেনে চলেন, মুসলমানরা তা মানেন না | অতএব, হিন্দুর এই মহাপ্রাণতাই আজ তার দুর্গতির কারণ ও রামকৃষ্ণ মিশন পরোক্ষভাবে অন্ততঃ তার জন্য দায়ী | এই অভিযোগের সত্যাসত্য কতদূর তা নিয়েই আজকের পর্যালোচনা ও আমার এই প্রতিবেদন |


আমি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদা দেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং রামকৃষ্ণ মিশনের দীক্ষিতজন | মিশনের বহু প্রাচীন সাধুর স্বল্পাধিক সঙ্গলাভ করেছি ও তাঁদের স্নেহাশীষ পেয়েছি | মিশনের সেবাকর্মের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা সময়ে সম্পৃক্ত থেকেছি | রামকৃষ্ণ মিশনই আমার প্রাণ, আমার আদর্শস্থল ও আমার সহায়, সম্বল, আত্মপরিচয়ের আলোকবর্তিকা | সেই হেতু এই আলোচনায় প্রবৃত্ত হতে একদিকে যেমন দ্বিধা বোধ করছি, অপর দিকে তেমনই তা কর্তব্য মনে করছি | বিশ্লেষণে ভুল থাকলে নিজগুণে ত্রুটিবিচ্যুতি মার্জনাপূর্বক তা সংশোধন করে দেবেন | এতে সত্য যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে | শ্রীশ্রীঠাকুর আমার এই আলোচনায় সহায় হোন |


শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সাধনকালে সনাতন ধর্মের এক একটি পন্থা অবলম্বন করে পর্যায়ক্রমে সাধন করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন | পরিশেষে নিজের আধ্যাত্মিক পিপাসা ও ধর্মবিষয়ক অপার কৌতূহল নিবৃত্তির জন্য তিনি ইসলাম ও খ্রীষ্ঠধর্ম সাধন করেন এবং যথারীতি সিদ্ধিলাভ করেন | এরপর তিনি তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি করেন যা যুগাবতারের মহামন্ত্ররূপে আজ পরিগণিত | 'যত মত, তত পথ' সেই মহামন্ত্র যা বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুনিধনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে |


'যত মত, তত পথ' -- এটি তো সনাতন ধর্মেরই শাশ্বত বাণী যা এযুগে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনে সাধনরূপে ও বাণীরূপে মূর্ত হয়েছে | এখন প্রশ্ন হল ইসলাম ও খ্রীষ্ঠধর্ম এ বাণী মানে কি না ? তাদের ধর্মগ্রন্থে নিজধর্ম ভিন্ন অন্য কোনও ধর্মকে সত্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি | বর্তমান রচনায় বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু ইসলাম ও তার প্রবল সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতার কথাই আলোচ্য রাখব 'যত মত, তত পথ' এই বাণীর সংযোগে | 


শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সুফি ইসলাম গুরু গোবিন্দ রায়ের কাছে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন ও সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন কিন্তু ইসলাম ধর্মে প্রথাগতভাবে নিজে ধর্মান্তরিত হন নি | এ ভারী অদ্ভূত ব্যাপার, ইসলাম ধর্মের বিরোধী এক একক অবস্থান ! কেমন করে তিনি ঐ ধর্ম সাধন করলেন তাঁর মুসলমান গুরুর কাছে নিজের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ না করে ও ইসলামকে চিরকালের জন্য কুবুল না করে ? আর যদি গোবিন্দ রায় শ্রীরামকৃষ্ণের উচ্চ আধার ও ভাবাবস্থা দেখে সে ব্যবস্থায় রাজী হয়ে তাঁকে ধর্মান্তরিত না করেই সুফি সম্প্রদায়ের ইসলাম সাধনা করাতে সম্মত হন, তাহলে তো শ্রীরামকৃষ্ণ বাহ্যতঃ একটি দিনের জন্যও মুসলমান হননি, বরং বাহ্যতঃ হিন্দু থেকেই সুফি ইসলামের আভ্যন্তরীণ গূঢ় সাধনা করেছিলেন | ব্যবহারিক দিক দিয়ে আজকের সাম্প্রদায়িক বাতাবরণে অসম্ভব বলে মনে হলেও ভারতের ইতিহাসে হয়ত এমন কখনও কখনও হয়ে থাকতে পারে এই রকম ব্যতিক্রম | তাহলে কি শ্রীরামকৃষ্ণের ইসলাম ধর্মে সাধনা ও সিদ্ধিলাভ বাতিল হয়ে গেল ? গৌণ ধর্মাবলম্বীরা তাই বলবেন অবশ্যই কিন্তু মুখ্য ধর্মামবলম্বীরা তা বলবেন না | অতীন্দ্রিয় সত্যলাভ করাই ধর্মের উদ্দেশ্য | শ্রীরামকৃষ্ণের ন্যায় মহাপুরুষের অধ্যাত্ম সাধনার যোগ্যতা ও পরমহংসরূপে তাঁর সমাজের নিয়ম বহির্ভূত হওয়ার কথা গণ্য করেই গোবিন্দ রায় সম্ভবতঃ তাঁকে প্রথাগত নিয়ম না মেনেই দীক্ষা প্রদান করেন ইসলাম ধর্মে এবং ফলতঃ শ্রীরামকৃষ্ণের ইসলাম ধর্মের সোপান বেয়ে অদ্বৈত মহাসাগরে ব্রহ্মানুভূতিই প্রমাণ করে তাঁর ইসলাম ধর্মসাধনার সার্থকতা যদিও তা ইসলাম ধর্মের তত্ত্বগত যাথার্থের প্রমাণ দেয় না | শ্রীরামকৃষ্ণের সাফল্য মানুষের অধ্যাত্ম উপলব্ধির সম্ভাবনাকে জগদ্ব্যাপী বিস্তৃত করে কিন্ত ইসলামের মূল তাত্ত্বিক দর্শনের সত্যাসত্য নিরূপণ করে না |


অবতার তাঁর তুরীয় চেতনার স্তরে অবস্থান করে ধর্ম সম্বন্ধে যে রায় দেন তা কার্যতঃ সর্বসাধারণের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্তরে প্রায়ই প্রয়োগ হয় না | সেখানে ঐক্যের বাণী বিভাজনের রাজনীতিতে পরিণত হয় | তাই এত বিদ্বেষ, বৈষম্য, ব্যভিচার সেই ধর্মের বাহিরমহলে যার অন্দরমহলে প্রবিষ্ট মহাপুরুষ শুধু প্রেমেরই গাথা গেয়ে গেছেন | এখন প্রশ্ন হল এই, শ্রীরামকৃষ্ণ যে ইসলাম ধর্ম সাধন করেছিলেন সেটি কি আদতে ইসলাম ধর্ম যেমনটি কুরানে লিপিবদ্ধ নাকি তিনি সুফি মতাবলম্বী গোবিন্দ রায়ের শিক্ষায় আদত ইসলাম নয়, আদি ইসলামের এক পরিবর্তিত, পরিণত, উন্নত, দরদী ভারতীয় সংস্করণ পালন করেছিলেন ? গোবিন্দ রায় কি তাঁকে আদত, ভয়ানক বিধর্মিবিদ্বেষি, বিধ্বংসী ইসলামের কথা আদপে বলেছিলেন ও সেইমত প্রচলিত হিন্দুধর্মের বিরোধী সব আয়াতের শিক্ষা দিয়েছিলেন ? নাকি গুরুশিষ্যের মধ্যে শুধু ঐ বিশেষ এক সুফি ইসলাম সম্প্রদায়ের সাধনপ্রণালী নিয়েই আলোচনা ও সাধনা সম্পন্ন হয়েছিল ?


দ্বিতীয় অধ্যায়ের সমাপ্তি | ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে |


ক্রমশঃ


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

Monday 25 October 2021

'যত মত, তত পথ' -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ...  ১





'যত মত, তত পথ' -- বিতর্কের মুখে রামকৃষ্ণ মিশন ...  ১

-----------------------------------------------------


বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদীদের বর্বর আক্রমণের দ্বারা আজ হিন্দু সমাজ ব্যাপকভাবে আক্রান্ত | বিষয়টি সকলেই অবগত আছেন | তাই তার বিবরণে এই উপস্থাপনায় আর যাচ্ছি না | হিন্দু সমাজ আজ প্রতিবাদে সরব বিশ্বের সর্বত্র | এরই মধ্যে কোনও কোনও মহলে কথা উঠছে রামকৃষ্ণ মিশনের হিন্দু সমাজ সংরক্ষণের কাজে ভূমিকা নিয়ে ও তাঁদের পালিত শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রীমুখনিঃসৃত বাণী 'যত মত, তত পথ'এর যাথার্থ নিয়ে, বিশেষতঃ গত ১০০ বছরের মুসলমান কর্তৃক হিন্দু গণহত্যা ও দেশভাগের পরিপ্রেক্ষিতে |


'যত মত, তত পথ' যুগাবতার বলেছিলেন তাঁর নানা ধর্ম সাধনার পর চূড়ান্ত উপলব্ধি থেকে | সাথে সাথে তিনি এমন আরও অনেক কথাই বলেছিলেন যা 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃতে' লিপিবদ্ধ আছে | সেগুলি প্রণিধানযোগ্য | উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ''আধুনিক ধর্ম সব আসবে যাবে, এক সনাতন ধর্ম থাকবে | তবে একেবারে যাবে না, ওই একটু একটু থাকবে |" আবার, "ধর্ম কিছু ঈশ্বর নয় |" অথবা "মতুয়ার বুদ্ধি ভালো নয় | ... আমার ধর্মটি ঠিক আর অপরের ধর্ম ভুল, এ ভাব ভালো না | ... সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায় |" আবার বলছেন ঠাকুর, "সবাই বলে, আমার ঘড়ি ঠিক কিন্তু এক সূর্যই ঠিক চলছে |" শ্রীরামকৃষ্ণের এই উক্তিগুলি পরস্পর বিরোধী তো নয়ই, তারা একে অপরের পরিপূরক | অতএব, গোল তৈরী হয় তখন যখন স্লোগানরূপে একটি বাণীর বেশী প্রচলন হয়ে পড়ে তার ভাষাগত সংক্ষিপ্তকরণের জন্য অথবা প্রচারকর্মের রাজনীতির জন্য |


মহাপুরুষের উপলব্ধি তুরীয় স্তরের | তার প্রয়োগ যখন বাস্তব জগতে হয় তখন তার রূপ প্রায়ই পরিবর্তিত হয়ে যায় কতক, এমনই দেখা যায় | এর কারণ দুটি | এক, মহাপুরুষের বাণী তাঁর অনুগামীরা সম্পূর্ণ উপলব্ধি করতে সক্ষম হন না ; দুই, ব্যবহারিক পরিস্থিতি সে বাণীর পূর্ণ প্রচার, প্রয়োগ ও প্রণয়নে বাধাস্বরূপ হয়ে ওঠে সাংগঠনিক দিক দিয়ে | এ অবস্থায় সত্যের প্রতিষ্ঠানিক রূপটি আদত সত্য থেকে পৃথক হয়ে পড়ে | ফলে জনমানসে মহাপুরুষের বাণীর সত্যাসত্য বিষয়ে বিভ্রান্ত্রির সৃষ্টি হয় | 


এখন এখানে অনেকগুলি প্রশ্ন এসে যায় |

১) 'যত মত, তত পথ' -- এই বাণীটির যাথার্থ তাত্ত্বিক দিক দিয়ে ও ব্যবহারিক দিক দিয়ে কতদূর ?

২) রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাতিষ্ঠানিক আদর্শগত অবস্থান কি ও তা জটিল রাজনৈতিক পরিবেশে পরিণত করা কতটা সম্ভব এবং তাঁদের ওপর সে বিষয়ে দায়ভারই বা কতটা বর্তায় ?

৩) রামকৃষ্ণ মিশন কি শুধুমাত্র একটি সন্ন্যাসী প্রতিষ্ঠান, নাকি তা সন্ন্যাসী ও গৃহীর যুগ্ম সহযোগে চলা একটি প্রতিষ্ঠান ? স্বামীজী কি চেয়েছিলেন ? ঘটনাপ্রবাহে তার কার্যত অবস্থান কি ?

৪) রামকৃষ্ণ মঠ কেন নবি দিবস পালন করেন কোনও কোনও শাখা কেন্দ্রে যেমন বাংলাদেশের ঢাকা কেন্দ্রে ? কেনই বা তাঁরা যীশুর আবির্ভাব দিবসের পূর্বসন্ধ্যা পালন করেন ? কেনই বা বুদ্ধপূর্ণিমা পালন করেন ? কি তাঁদের সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভাব ও বার্তা এবং কেন ?


প্রথম অধ্যায়ের সমাপ্তি | ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে | 


ক্রমশঃ 


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

BARBARISM IN BANGLADESH 


BARBARISM IN BANGLADESH 


Hindus have no protection in Bangladesh. They have never had it in the past. There has been systematic ethnic (Hindu) cleansing going on in Bangladesh over the past decades whose culmination has now been reached in the 75th year since 'The Great Calcutta Killing' and the Noakhali genocide of Hindus in 1946. When ten year old Hindu girls are raped by Islamists, nothing more needs to be said about the plight of the Hindus in Bangladesh.


All this talk of secularism in Bangladesh is hogwash. It is an Islamic state in intent and in practice where free thinking is deemed anti-Islam and atheist and secular bloggers are hacked to death. The state, despite pretentious talk about bringing the culprits to justice, has done virtually nothing in that direction. Over 3700 cases of crimes against Hindus have been cited by human rights organisations over the past decade but no one has been brought to book on that count.


Taslima Nasrin protested against Islamic violence unleashed on Hindus in her book 'Lajja', published in 1993, but the book was banned by the BNP and Taslima, bearing death threats from Islamists, had to flee Bangladesh. Since then she has been living in exile under constant security guard. But her intrepid voice is ever raised against the forces of evil that have taken Bangladesh to the days of demonic dark. Taslima is even disallowed from entering West Bengal as she is perceived to be a threat to peace and harmony in the state.


The Constitution of Bangladesh promulgated in 1972 was a secular one with no mention of it having any state religion. But General Ershad later perverted it and declared Islam to be the state religion. The Awami League has vowed to restore the original secular Constitution. If it does so, it will be a step in the right direction. Meanwhile, Taslima Nasrin continues to be denied entry into Bangladesh and her book, 'Lajja', continues to remain under ban in her home country.


Bangladesh was born in blood as East Pakistan when Suhrawardy under orders from Jinnah organised 'The Great Calcutta Killing' on 16 August, 1946. Noakhali followed soon after and the two and a half month genocide of Hindus there forced Gandhiji to agree to Partition. Sheikh Mujibur Rahman was Suhrawardy's close confidante and associate, his loyal follower and organiser of the demand for Partition. So, when East Pakistanis were murdered by the millions by the marauding army from West Pakistan it was time to rectify course and seek shelter, succour and support in India which Mujib did along with a hapless hundred lakhs of fleeing East Pakistanis. Kolkata became home for the refugees and their leader, the very Kolkata which had been bathed in blood by Islamists on 16 August, 1946.


This bit of bloody history needs to be heeded and that is : Partition, Pakistan and Bangladesh thereafter would never have been but for the blood spilled from the arteries of tens of thousands of innocent Hindus in Kolkata and Noakhali. And who spilled them? The forefathers of these very ones in Bangladesh who are now enacting a genocide of Hindus there to finish off the unfinished business of total annihilation. If they succeed, India will be blessed with a two-pronged adversarial neighbourhood in Pakistan and Bangladesh, both fuelled by Islamic hate of Hindus. Pakistan and Bangladesh may be separated in terms of linguistic culture but when it comes to religion, their fanatics will claim a common bond of the Umma and a common objective in the destruction of Hindus and Hinduism. Sheikh Hasina knows it all -- her heritage in the propagation and prevention of this hate, her electoral past compulsions and actions thereof and her ideological stand in regard to her own religion. 


So, what is the future of the Hindus in Bangladesh? Why? -- a progressive petering out through conversion and exodus. What will Hasina do about it? Nothing whatsoever beyond being a bystander, a silent spectator and, thus, by default, an indirect facilitator of the process of Hindu perversion to Islam and the completion of the corruption which began in undivided Bengal with the Great Calcutta Killing and the Noakhali genocide of 1946 where her 'secular' father had been the confidante and associate of Suhrawardy who had initiated it. Hasina will do nothing substantial that will stop this fanatical Islamic community in Bangladesh from taking the country to the Dark Ages. Her past record proves this contention and the future is built out of the past. Were she a Mustafa Kemal Pasha, she would have long back altered the course of Bangladesh in this regard. But she has not. So, she neither has the wish nor the will nor the ideological conviction of plurality of culture to bring about these reforms in a fast-sliding Bangladesh polity where the yawning chasm of Islamism lies in wait to swallow all alternative lines of civic and religious living.


Is there no hope then? Is Bangladesh doomed? Not quite. My hope lies in the progressive youth of Bangladesh who have learnt to think. They have started the resistance movement in real earnest at a great danger to their selves. They are the hope.


Written by Sugata Bose

Sunday 24 October 2021

একেই কি বলে ভক্তি ?


একেই কি বলে ভক্তি ?

------------------------------


'প্রণাম ঠাকুর', 'প্রণাম মা' আর 'জয়তু স্বামীজী' বললেই হিন্দু বাঁচবে ? যতই লিখি না কেন, কাপুরুষ কাপুরুষই থাকে | এ কী অদ্ভুত, আত্মবিস্মৃত, আত্মঘাতী, আত্মবিধ্বংসী জাত ! হিন্দু আজ ভয়ঙ্করভাবে ইসলামীয় মৌলবাদের হস্তে আক্রান্ত আর এঁরা ঠাকুরের স্তুতিবাক্য গেয়ে আত্মতৃপ্ত ? কী নিদারুণ বিশ্বাসঘাতকতা ! ঠাকুর হিন্দুর নরদেহে মরছেন, মা লাঞ্ছিতা হিন্দু নারীর দেহে, আর এঁরা কিনা তাঁদের রক্ষার কথা না ভেবে স্তুতিগানে মগ্ন ? একেই কি বলে ভক্তি ? 'একেই কি বলে সভ্যতা ?'


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

না পড়েও চলে বুঝি ? সবাই কি ঠাকুর ?




না পড়েও চলে বুঝি ? সবাই কি ঠাকুর ?

------------------------------------------------------


যৌবনে রামকৃষ্ণভক্তির উন্মেষকালে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্য তন্ন তন্ন করে পড়েছিলাম সেই থেকে নিরন্তর ৩২ বছর | তারপর নেতাজী অন্তর্ধানবিষয়ে মনোনিবেশহেতু এই নিরবচ্ছিন্ন অধ্যয়নে বিক্ষেপ ঘটে | অবশ্য, ততদিনে ফেসবুকে পূর্ণমাত্রায় লেখালেখি শুরু হয়ে যাওয়ায় রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ চর্চা অব্যাহত থাকে |


এইটি আবশ্যক | জপধ্যানাদি, পূজার্চনা ও জীবন নির্বাহকল্পে প্রাত্যহিক কর্ম সম্পাদনের সাথে সাথে ঐ পূজাপাঠের পাঠটি যেন ভুলে না যাই | ঠাকুর-মা-স্বামীজী বাণীরূপে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্যে আজও মূর্ত ব্রহ্মজ্যোতিস্বরূপ | পাঠে মন দিন | প্রত্যহ 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত' ও 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা' পড়ুন | তবেই বুঝবেন স্বধর্ম কি, দেশপ্রেম কি ; মানবপ্রেম যে নিছক নাস্তিকের বাকচাতুরী নয়, হৃদয়ে ঘনীভূত ভাবের উৎকর্ষ -- তা মর্মে মর্মে অনুভব করে ধন্য হবেন | জয়, শ্রীরামকৃষ্ণের জয় !


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের কাছে আমার আবেদন :


রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের কাছে আমার আবেদন :

----------------------------------------------------


দয়া করে ভক্তদের সাহসী হবার শিক্ষা দিন | দুর্বল, কাপুরুষের ন্যায় ভালমানুষী আর ভক্তিমূলক স্তুতিবাক্য হতে ওঁদের বের করে আনুন | ওঁদের বীর, বীরাঙ্গনা হবার শিক্ষা দিন |


ইতি,

প্রণত,

সুগত বসু (Sugata Bose)


Saturday 23 October 2021

FACEBOOK, TWITTER, INSTAGRAM AND YOUTUBE COMMENTS ... 3


FACEBOOK, TWITTER, INSTAGRAM AND YOUTUBE COMMENTS ... 3


Sugata Bose @Suvasish Ganguly : Do you support conversion by force that is regularly done in Pakistan?


Sugata Bose @Suvasish Ganguly : You must live in Bangladesh or Pakistan to be able to understand Islamic violence against the Hindus. Sitting here will leftist leanings and the consequent political slant will not allow you to feel sympathy for your persecuted Hindu brethren in Pakistan or Bangladesh.


Sugata Bose @Ranjini Chakraborty : আপনি দেখছি খুব বুঝে ফেলেছেন আমার রচনার মর্মার্থ । এই না হলে ভক্তের আজ এই দশা ! মর্মান্তিক ! এ হেন মন্তব্য করার পূর্বে মস্তিষ্ক প্রক্ষালন করুন । আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি, উপরোক্ত videoটি প্রায় শতবার share করেছি । অনুগ্রহ করে মিশনের প্রতি আমার ঐকান্তিক অনুরক্তি বৃদ্ধি করার প্রয়াস পাবেন না ; ও কাজটি শ্রীশ্রীঠাকুর দীর্ঘকাল পূর্বেই সেরে রেখেছেন । এ বিষয়ে হতাশ করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।


Sugata Bose @Narayanan P D Namboodiri : Absolutely right. Courage is the outflow, the derivative of truth.


Sugata Bose @Parnika Bubna : Superb! That's the spirit. You are now showing the way for others to follow suit. Let the conch-shell sound. Let the lion of Vedanta roar.


Sugata Bose @

















এ কি ভক্তের সাজে ?


এ কি ভক্তের সাজে ?

-----------------------------


আপনারা কোন আক্কেলে হিন্দুর এই দুর্দিনে ভক্ত হয়েও সেলফিতে নিজের রূপচর্চিত ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন ? আপনাদের কি হিন্দু হয়েও হিন্দুর দুঃখে এতটুকু দুঃখবোধ হয় না ? আগুন লেগেছে আজ হোথায় ঠিক যেমন দেশভাগের আগে লেগেছিল নোয়াখালীতে | সে আগুন আজও নেভেনি | 


ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে নিজের জাতভাইবোনেদের দিকে ফিরে তাকান | ওরা যে শেষ হয়ে যচ্ছে বাংলাদেশে | এত নৃশংস হবেন না | রূপচর্চা ও তার ফেসবুকে প্রচার বন্ধ রেখে স্বধর্মরক্ষার্থে গর্জে উঠুন | নইলে ঠাকুর-মাকে সহস্র স্তুতিপূর্ণ তোষামোদ করলেও কৃপালাভ হবে না যেখানে পুরুষশরীরে ঠাকুর আজ বাংলাদেশে লাঞ্ছিত আর স্ত্রীশরীরে মা লাঞ্ছিতা | ভেবে দেখেছেন এভাবে একবারও ? স্বামীজীর কথা আর তুললাম না কারণ তিনি এ হেন কাপুরুষতা ও নির্মমতাকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন তাঁর স্বজাতির নিমিত্ত যন্ত্রণাময় জীবোদ্দশায় |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

Friday 22 October 2021

বাংলাদেশে বিশ্বপ্রেম,শান্তি, ধর্ম, কী এলেম !




বাংলাদেশে বিশ্বপ্রেম,

শান্তি, ধর্ম, কী এলেম !

-------------------------------


মুসলমানরা হিন্দুদের কতটা সম্মান করেন, কতটা ভালবাসেন, তা বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি বিগত দুসপ্তাহ যাবৎ যে অপার্থিব প্রেম প্রদর্শন করছেন তাঁরা, তা প্রকৃষ্টরূপে প্রমাণ করছে | এমন অগ্নিসাক্ষী করে হিন্দুর আবাসস্থলকে, গ্রামকে পবিত্র শ্মশাণভূমিতে রূপান্তরিত করা কি কম তাণ্ডবপ্রেমের কথা ? কী অপার ভ্রাতৃপ্রেম ! 


মৌলবাদী বলে নিন্দা করেন কেন ওঁদের ? খুবই অন্যায় এরকম বলা | ওঁরা তো ওঁদের ধর্মবিশ্বাসের মূলে স্থিত | ওঁদের মূলবাদী বলে প্রশংসা করুন | কত সৎ ওঁরা ! ঠিক ঠিক পালন করছেন ওঁরা পৌত্তলিক হিন্দুর প্রতি প্রেমপ্রদর্শন যেমনটি ওঁদের বলা হয়েছে শুরুর থেকেই | এঁর জন্য ওঁরা ইহকালে প্রশংসিত ও পরকালে পুরস্কৃত হবেন ইত্যাদি, ইত্যাদির দ্বারা | অতএব, নিন্দা না করে শিখুন এই সব প্রেমিক মুসলমানদের কাছে কিভাবে ভালবাসতে হয় সারা বিশ্বের মানুষকে, বিশেষতঃ, প্রাণাধিক প্রিয় হিন্দু ভাইবোনেদের | মন দিয়ে শিখুন তো এখন |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

সেদিনও যা, আজও তা

সেদিনও যা, আজও তা

---------------------------------


পূর্বপাকিস্তান হিন্দুদের গণহত্যা দ্বারা তৈরী হয়েছিল | সেদিন তাঁর পুরোধাপুরুষ কে ছিলেন বাংলায় ? কে ছিলেন তাঁর মুখ্য, বিশ্বস্ত সহকারি ? ইতিহাস ঘাঁটুন | উত্তর পাবেন | তাহলেই বুৃঝতে পারবেন আজ বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা তারই পুনরাবৃত্তি |


১৯৪৬এর নোয়াখালী আজ তার ৭৫ বর্ষ এইভাবেই উদযাপন করছে ২০২১এ | সেদিন ছিলেন একজন অন্যতম শীর্ষনেতৃত্বে আর আজ সম্পর্কগতভাবে আর একজন শীর্ষনেতৃত্বে |


এ কদিন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার যা হচ্ছে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় | তা এক সহস্রাধিক বছরের সুপরিকল্পিত বিধর্মিহত্যার অব্যাহত ধারা | তাই বাংলাদেশের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সবিশেষ প্রচেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারবেন না হিন্দুর রক্ষাকল্পে যদি না তিনি তুরস্কের মুস্তাফা কামাল পাশার ন্যায় দমন করেন ইসলামী মৌলবাদ | কিন্তু তা তো তিনি করবেন না | তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকবেন সাময়িক | তারপর যে কে সেই, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতে থাকবে বাংলাদেশে যতদিন না তা হিন্দুশূণ্য হয় |


জয়, বাংলাদেশের জয় !


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

ঠাকুরকে খোলা চিঠি 


ঠাকুরকে খোলা চিঠি 

-----------------------------


'যত মত, তত পথ', ঠাকুর, শুধু হিন্দুরাই মানে | বাকি বহিরাগত, বিদেশী ধর্মগুলো সব হিন্দুধর্মকে মিথ্যা জ্ঞান করে ও হিন্দুদের ছলে, বলে, কৌশলে ধর্মান্তরিত করে |


হাজার বছরের ওপর অবিরাম অত্যাচার চলেছে হিন্দুদের ওপর | দেশ ভাগ করেছে ওরা এই ধর্মান্ধতাহেতু | আজও বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যা ঘটে চলেছে তা কি তোমার ঐ মহামন্ত্রের দ্বারা নিরোধ করা যাবে ? শুধু হিন্দুই প্রেম দেবে আর তার প্রতিদানে বিলুপ্ত হবে ? এ কেমন বিচার, প্রভু ? 


স্বামীজীকে তুমি লোকশিক্ষার জন্য রেখে গেছিলে | তার বাণীর আংশিক প্রচার ও প্রয়োগ করতে তোমার অনুগামীরা ব্যস্ত | এত কাপুরুষ একযোগে যোগাড় করলে কি করে, প্রভু ?


হাজার বছরের বর্বরতার কি আজও সমাপনের দিন আসে নি ? তাহলে আর কার কাছে আবেদন করব ? যদি তোমার ও তোমার প্রিয় শিষ্য স্বামীজীর বাণীর এই মৃদুব্যাখ্যা সম্প্রীতির কারণে অব্যাহত থাকে, তবে অচিরেই হিন্দুসমাজ সে বাণীর অপব্যাখ্যা শুরু করে দেবে | তাই সত্যভাষণে উদ্বুদ্ধ করো তোমার অনুগামীদের |


হিন্দুর সংকটকাল উপস্থিত | হয় আবির্ভূত হও, নয় হিন্দুর প্রাণে সত্য বোঝার, বলার ও আচরণ করার যথাযথ শক্তি সঞ্চার করো | এমন তো চলতে পারে না | আর কতকাল, ভগবান ?


ইতি,

তোমার শ্রীপাদপদ্মে চিরপ্রণত,

সুগত বসু (Sugata Bose)

ARISE ! AWAKE ! AND STOP NOT TILL THE GOAL IS REACHED


ARISE ! AWAKE ! AND STOP NOT TILL THE GOAL IS REACHED


Despite resistance from ignoramuses galore within the body politic of the Hindus and from enemies outside, the Hindus, bearing the blessings of Ramakrishna-Vivekananda, are rising slowly to self-consciousness. Devotees of Ramakrishna-Vivekananda, expedite the process by awakening consciousness among the people and do not betray the Mother's cause by preaching false theories that Islam bears goodwill towards Hindus or that all religions preach essentially the same truth. Do not be superficial in your knowledge of the Sanatan Dharma nor in that of the scriptures of the Abrahamic religions, Islam and Christianity, which deem Hinduism false and Hindus fit for conversion to their fold at any cost.


Written by Sugata Bose

Thursday 21 October 2021

কে বাঁচায় হিন্দুরে ?


কে বাঁচায় হিন্দুরে ?

---------------------------


শৈশব হতে বিধর্মীর প্রতি ঘৃণার বিষসংক্রমণের শিকার বিশ্বের অগণিত মানুষ | এঁরা বড় হয়ে ধর্মান্ধ হবেন না তো কি হবেন ? এঁরা বিগ্রহপূজারি হিন্দুকে ঘৃণা করেন, তাঁর ধর্মকে নিচু নজড়ে দেখেন | এঁদের শিক্ষা দেওয়া হয় আশৈশব সমগ্র বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারই এঁদের পবিত্র কর্তব্য | নিজধর্ম প্রতিষ্ঠা ও অপর সকল ধর্মের ক্রমশঃ অপসারণ -- এটিই এঁদের ধার্মিক লক্ষ্য | অতএব, হাজার বছরের হিন্দুনিপীড়ন আজও অব্যাহত | হিন্দুর উচিত স্বধর্মপালন, পরস্পর মৈত্রীস্থাপন, সহানুভূতি, সহযোগিতা, নিজ ধর্মপুস্তক পাঠ ও অনুধাবন, ও সর্বোপরি, সুশিক্ষিত ও চরিত্রবান হওয়া | এতেই শক্তিলাভ ও এই হল আত্মসংরক্ষণের উপায় |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)


আলোকচিত্র : সৌজন্যে, Vraja Mohana

Wednesday 20 October 2021

বাংলাদেশে হিন্দু ভাইবোনের প্রতি 

বাংলাদেশে হিন্দু ভাইবোনের প্রতি 

----------------------------------------------


দুঃখ কি জানেন ? একা লড়ছি | কারুর মনে রেখাপাতও বিশেষ করতে পারছি না | যন্ত্রণা শুধু নিজের মধ্যে রাখতে পারিনা, তাই লিখি সারাদিন উন্মত্তের ন্যায় | স্বার্থপর, অতি স্বার্থপর এ জাত, ঘরে বাইরে !


সুগত বসু (Sugata Bose)

বাংলাদেশকে ওরা হিন্দুশুণ্য করতে চায় 

বাংলাদেশকে ওরা হিন্দুশুণ্য করতে চায় 

------------------------------------------------------


নিজের ঘরে আগুন না লাগলে বুঝি দমকলকে ডাকতে নেই প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলেও ? সে তো চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতার কাজ | ও আগুন তো এঘরেও আসবে |


আগুনের আগমনী সংগীত শোনা যায় দুর্গার দুর্গতির মাঝে | গোটা বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু গনহত্যার শিকার মুসলমান মৌলবাদের হাতে আর এখানকার মানুষজন দিব্যি নিজেদের তুচ্ছ ভোগবিলাস নিয়ে আত্মমগ্ন | একজন যুবতী তো আমায় বলেই দিলেন, "Not bothered. Thank you."


হায় বাংলা ! শুধু ভুখণ্ড বিভাজিত হয় নি, হৃদয়ের বিভাজনও ঘটেছে | এভাবে নিম্ন ভোগের পেছনে ছুটলে সামনে বিপদ | স্বামীজী বলেছিলেন, এভাবে তিন প্রজন্মে জাতি হিসেবে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব | বাংলাদেশে যা ঘটছে তাতে মহাপুরুষের ঐ অমোঘ বাণী ফলে যাচ্ছে | বাংলাদেশকে হিন্দুশুণ্য করতে চায় মুসলমান মৌলবাদীর দল | এখানেও ধীরে ধীরে হিন্দুর সর্বনাশ সাধন হচ্ছে | তার দায়ভার হিন্দুর নিজের |


ভেবে দেখুন, এখনও নিজেকে নিয়ে মত্ত থাকবেন না জাতির সুদীর্ঘ, সমৃদ্ধিশালী জীবনের জন্য ভাববেন | স্বামীজী বলেছিলেন, "Sacrifice has been the law in the past ages. Alas! it shall be the law in the future as well. Buddhas by the thousands will have to be sacrificed." আমরা যদি সেই আত্মবলিদান নাও দিতে পারি, আমরা কি একটু আত্মসংযম করে এই মুহূর্তে দুর্গত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে পারি না সহানুভূতির হৃদয় নিয়ে ?


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

BUDDHADEV GUHA ON OUR PAST, PRESENT, FUTURE

"ভারতবর্ষের ইতিহাস বলে যে, আমারা দাড়িতে ছারপোকা পালনকারী অগণ্য দুর্গন্ধ, বিজাতীয়, বিধর্মী, জঘন্য সব বহিরাগতদের দ্বারা নিপীড়িত, পদদলিত, লুন্ঠিত, অপমানিত, প্রহৃত এবং ধর্ষিত হইতে বড়োই ভালবাসি।

উত্তর ভারতের জনসংখ্যার একটি অংশের ধমনীতে কত আফগান, মোগল, পারসিক, তুর্কি এবং ইরানির রক্ত যে প্রবাহিত হইতেছে তাহা কে বলিতে পারে!

যেভাবে এবং যে কায়দাতে "আঁতেল"-শ্রেষ্ঠরা, ধর্মে- অবিশ্বাসীরা, দেশের নিয়ন্ত্রা হইয়া বসিয়াছেন তাহাতে তাঁহাদের ভোট-ভিখারী মনোবৃত্তর নিট ফল হইবে যে, ভারতবর্ষও একদিন পাকিস্তানের অন্তর্গত হইয়া যাইবে। ভিতু, মেরুদন্ডহীন, অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সাময়িক লাভের লোভের কবলে সম্পূর্ণ পরাভূত, বর্তমান ভারতবর্ষের গরিষ্ঠ প্রজাতি সমস্ত ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎকে কবরস্হ যে

করিবেই তাহাতে আমার কোন সন্দেহই নেই। এই ঘটনা ঘটিতে বড়জোর আর পঞ্চাশ বৎসর লাগিবে।

দুই শতাধিক কাল আমরা ইংরেজের পরাধীন ছিলাম। আমাদের স্বাধীনতার বয়স তো পঞ্চাশ হইয়া গিয়াছে। যথেষ্টই হইয়াছে। আবারও পরাধীন হইবার জন্য আমাদের সমস্ত সত্তা বড়োই উদগ্রীব হইয়াছে। এক্ষণে আমাদিগের নূতন মালিক পাকিস্তান হয় না চিন, না আমেরিকা না রাশিয়া বা জাপান, তাহাই দেখিবার।

মানুষের মত মানুষের বড়োই অভাব বলিয়াই যাহা ঘটিবার এদেশে, তাহাই ঘটিবে। কাহারও সাধ্য নাই এই আত্মঘাতী জাতিকে আত্মহত্যার পথ হইতে অন্য পথে চালিত করে।"


 ( পর্ণমোচী/বুদ্ধদেব গুহ)

VIOLENCE AGAINST HINDUS IN BANGLADESH 

VIOLENCE AGAINST HINDUS IN BANGLADESH 


The violence in Bangladesh against Hindus by fundamentalist Muslims may have politics behind it but this so often has happened in history and continues to do so because of the essential intolerance Islam bears towards other religions, especially against pagan religions, idolatrous ones like Hinduism, religions which are not part of the Book. Otherwise, why is it that only in Islamic countries so much targeting goes on against other religions? There is a theological basis to it. The glaring instance of this is the Partition of India, no doubt initiated and instigated by the British in equal measure but surely brought about by Islamic fundamentalism. Has anyone ever heard of Jain fundamentalist violence?


Written by Sugata Bose

আশ্চর্য আত্মবিস্মরণ !

আশ্চর্য আত্মবিস্মরণ !

-------------------------------


সাধারণ মানুষ এত স্বার্থপর ? এতবড় হিন্দু গনহত্যা চলছে বাংলাদেশে আর এঁরা নিজেদের নিত্য নতুন ছবি দিচ্ছেন storyতে | কেউ কেউ আবার চিত্রতারকাদের ছবি রোজ দিচ্ছেন | কি অপার অনীহা আত্মসংরক্ষণে ! অতীতকে দেখে, বর্তমানকে দেখে এতটুকুও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা নেই | এই না হলে শিক্ষা ? এঁদের নিজের ঘরে বিপর্যয় না এলে ঘুম ভাঙে না | আশ্চর্য আত্মবিস্মরণ !


হোথা পুড়ছে মানুষ, উড়ছে ছাই |

হেথা ভোগবিলাসের অন্ত নাই ||


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

মোরা মার খেয়ে সব ভাই ভাই, মোদের কোনোই ধর্ম নাই ||

মোরা মার খেয়ে সব ভাই ভাই,

মোদের কোনোই ধর্ম নাই ||

---------------------------------------


সবচেয়ে ক্ষতিকারক হল এই মনোভাব -- ওরা আমাদের মারুক না কত মারবে | আমরা তো সর্বধর্মসমন্বয়ে বিশ্বাসী মহানুভব হিন্দু | আমরা ওদের শত অত্যাচার সহ্য করব, ওদের ধর্মানুষ্ঠানে ফেসবুক পোস্ট দেব, ওদের ধর্মপ্রতিষ্ঠাতার গুণকীর্তন করব | আমরা হিন্দু | আমরা উচ্চবিত্ত, পাশ্চাত্য মনোভাবাপন্ন, জাতে স্বার্থপর, পাতে পেট্রোডলার হিন্দু | আমাদের মাকে অপমান করলে, আমাদের ধনেপ্রাণে মারলে, আমাদের ধর্মচ্যুত, গৃহচ্যুত, দেশচ্যুত করলেই বা কি? আমরা তো বিশ্বমানব | আমাদের কি একটা ধর্ম ? না হয় ওদের ধর্মটাই নিলাম | ক্ষতি কি ? যে কোন ধর্ম দিয়েই তো পরম সত্যে পৌঁছনো যায় | অতএব, মারে মারুক | আমরা ঠিক বেঁচে থাকব দেখবেন বিধর্মীর ধর্ম গ্রহণ করে | চাপে ! 


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

Tuesday 19 October 2021

যাঁদের বলার সাহস নেই আপনাদের, তাঁদের বলুন সোজাসুজি

যাঁদের বলার সাহস নেই আপনাদের, তাঁদের বলুন সোজাসুজি

-------------------------------------------------------------------


যে সব হিন্দুবিদ্বেষী মানুষ liberalismএর বুলি ছোঁড়েন আমাদের তাক করে, তাঁদের মনে করিয়ে দি এটি যে তাঁরা যে গণতন্ত্র ভোগ করছেন এ দেশে হিন্দুর সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে, অথচ, সেই হিন্দুদেরই আচার-অনুষ্ঠান-দেবীবিগ্রহ বিধর্মীর হাতে পণ্ড হলে, ধ্বংস হলে ও হিন্দু গণহত্যার শিকার হলে একটি কথাএ বলেন না প্রতিবাদস্বরূপ হিন্দুর সপক্ষে, তাঁরা অচিরেই সে গণতন্ত্র হারাবেন যদি হিন্দু সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন | তখন 'democracy' শব্দটি তার মধ্যপ্রদেশে নেতিবাচক 'no' সংযুক্ত হয়ে 'demonocracy'তে পরিবর্তিত হবে | গণতন্ত্র সংখ্যার খেলা, ভুলে গেলে চলবে না | হিন্দুনির্যাতনও সংখ্যার খেলা | তাই liberalism কপচান যাঁরা তাঁরা ultraliberal, universal democrat হিন্দুদের ও কথা না শুনিয়ে ওই সব বিধর্মীদের শোনান গিয়ে যেখানে ও সব কথা শিক্ষার প্রয়োজন আছে |


পাঁচ হাজার বছরের হিন্দু ইতিহাস তাঁর পরমত সহিষ্ণুতার সাক্ষ্য দিচ্ছে | হিন্দু অগণিত বার ইসলামীয় ও খ্রীষ্ঠীয় ধর্মান্ধতার শিকার হয়েছেন কিন্তু প্রতিদানে প্রেমই দিয়েছেন আজ অবধি | ইতিহাস পাঠ করুন হিন্দুর নেত্র দিয়ে, জড়বুদ্ধি পরিত্যাগ করে পবিত্রচিত্তে | সব পরিষ্কার হয়ে যাবে | এখনও হিন্দুর সমর্থনে সরব হোন, নইলে democracyর antithesis demonocracy শীঘ্রই আসছে |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

IT IS NOT AN EPIDERMAL DISEASE

IT IS NOT AN EPIDERMAL DISEASE


Is the symptom the cause of the disease or the disease the cause of the symptom? Which one will the doctor treat to cure the patient? Cosmetic application of lotion will not cure. The disease is deep. Its roots will have to be located and the medicine applied via intravenous injection. In case of it being an organic disorder that cannot be treated with mere medicine, surgical removal of the affected part will have to be done. The patient must be saved. 


Written by Sugata Bose

ARISE ! AWAKE !


ARISE ! AWAKE !


Hindus must not only study the Sanatan Dharma (Hinduism) but also build up a hypocrisy-free character. Cowardice cannot be a part of it neither stupidity to go out of the way to show love to those religions that hold Hinduism as false. This sort of shallowness in religious approach in the name of attempted religious harmony is not conducive to Hindu welfare. Self-respect and a sense of honour demands that Hindus should not thus dishonour their own religion by lavishing praise on religions whose stated agenda is the eventual destruction of Hinduism. Do Hindus not know why these proselytising religions keep on converting them to their fold? If not, it is time to shed hypocrisy and wake up from this undue slumber that will otherwise obliterate them.


Written by Sugata Bose

এখনও আশা ?



এখনও আশা ?

--------------------


যে পূর্ববঙ্গের নোয়াখালিতে প্রায় তিন মাস যাবৎ মুসলমানকর্তৃক অমানুষিক হিন্দু নির্যাতনের দ্বারা পাকিস্তানের জন্ম হয় এবং হুসেন সুহরাওয়ার্দির অতি বিশ্যস্ত সহকর্মী, শেখ মুজিবুর রহমান, স্বয়ং ভারতবিভাজনকর্মে প্রকৃত অথবা পরোক্ষভাবে স্বল্পাধিক ভূমিকা পালন করেন, তৎপরবর্তিকালে পাকিস্তানের সৈন্যবাহিনী দ্বারা অগণিত হিন্দুহত্যা সংঘটিত হয় ও বাংলাদেশ নামক নূতন দেশের স্থাপন হয় ভারতের সামরিক সহায়তায়, সেই বাংলাদেশে হিন্দু সুরক্ষিত থাকবে এমনটি কোন বুদ্ধিদোষে আশা করেন, বিশেষতঃ যেখানে বাংলাদেশ আজ বহুবছর ধরে ইসলামকে জাতীয় ধর্মরূপে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে ?


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)


আলোকচিত্র : ১৯৪৬এর নোয়াখালী হিন্দু গণহত্যার সময় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী মাধবানন্দজী মহারাজের প্রতিবাদবার্তা |

বুদ্ধীজীবির বিবেক কই ?

বুদ্ধীজীবির বিবেক কই ?

----------------------------------


যাঁদের আপনারা বুদ্ধিজীবি বলে এত শ্রদ্ধা করেন, তাঁরা অধিকাংশই ভোগী, সনাতন ধর্মবিরোধী জড়বাদী নাস্তিক | এঁদের না আছে ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে শ্রদ্ধা, না আছে এঁদের ইন্দ্রিয়সংযম | অতএব, এঁদের মাথার মণি করে রাখবেন না | এঁরা সুযোগসন্ধানী, নিজস্বার্থরক্ষার্থে অবলীলায় দলবদলে পারঙ্গম ও বাঁকাচরিত্র | এঁদের মুখে মার্ক্স, কদাপি বিবেকানন্দ নয় | এঁরা জন্মসূত্রেমাত্র ভারতীয়, সংস্কৃতিতে বিশ্বজনীন -- যেন ব্যাপারটা এতই সহজ -- ও এঁরা দিনে এক, দিনশেষে আর এক | এঁরা মুসলমানের মানরক্ষায় ঠিক যেমন তৎপর, হিন্দুর সম্মানহানিতেও ঠিক তেমনই তৎপর | অতএব, বৈপরীত্যে বেশ সমদর্শনটি রেখেছেন | এঁরা প্রকাশ্যে গোমাংস ভক্ষণ করে প্রগতিশীলতার পরিচয় দেন কিন্তু কদাপি ইসলামবিরোধী কোনও কর্ম করার দুঃসাহস দেখান না | এঁরা এক অদ্ভূত ধরণের আর কি | এঁদের প্রাধান্য দেবেন না | এঁদের এঁদের মতনই থাকতে দিন | এঁরা ঘরের খাবেন, বনের তাড়াবেন, এটাই তো এঁদের চরিত্রে স্বাভাবিক | একটি কখা -- এঁদের মাঝে একটি ব্রহ্মচর্যবান, ব্রহ্মচর্যবতীও পাবেন না |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

কেউ বুঝল না

কেউ বুঝল না

------‐--------------------

সেকালে স্বামীজীকে একা লড়তে হয়েছিল আর একালেও তাই | তাঁর কাজে বড় কম মানুষ নিজেকে ঠিক ঠিক নিয়োগ করেছেন | তাই স্বামীজী বড়ই একা | তাঁর বাণী না কেউ বোঝার চেষ্টা করেছেন না কেউ কোনকালে তা বুঝেছেন | সহজ নয় সে বাণী যে সহজে হৃদয়ঙ্গম হবে পূর্ণমাত্রায় | যাঁরা তাঁর সমকালীন কৃতি মানুষজন ছিলেন, যেমন রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা স্বামীজীর জীবোদ্দশায় তাঁকে না ঠিক চিনতে পেরেছিলেন, না তাঁকে কোনভাবে সাহায্য করেছিলেন | ফলে বরানগর মঠের প্রাথমিক অমানুষিক দারিদ্র |


বিশ্ববরেণ্য বিবেকানন্দকে বোঝার জন্য যে শুধু বিরাট হৃদয় লাগে তা নয় | তাঁকে বোঝার জন্য বিরাট মনীষাও লাগে | তাই তাঁকে প্রায় প্রত্যেকেই আংশিকভাবে বুঝেছিলেন | তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ ব্যতীত হয়ত একমাত্র শ্রীমা সারদাদেবীই তাঁকে পূর্ণরূপে চিনেছিলেন কারণ তাঁরা ছিলেন স্বামীজীর স্বরূপে স্থিত | এটি আধ্যাত্মিক উপলব্ধির বিষয়, তাই এই জটিল তত্ত্বটিতে আর প্রবেশ করছি না |


একজন যথার্থ মানুষ সৃজনশীল হন, চিন্তাবিদ হন, স্বকীয়তার অধিকারী হন | তিনি স্বধর্ম পালন করেন, পরের অনুকরণ করেন না | তাঁর সমাজকে কিছু দেওয়ার থাকে নিজস্ব ধারায় সমাজের অভাব দূরিকরণকল্পে | স্বামীজী ছিলেন এমনই এক ব্যক্তিত্ব |


কিন্তু আরও একটি গুণের জন্য তাঁকে কেউ সেভাবে বোঝেনও নি, তাঁর প্রদর্শিত পথ অনুসরণও করেন নি | তা হল তাঁর যুগের আগে আগমন | স্বামীজী আগামি যুগের ভাবের, আদর্শের প্রতিষ্ঠাতা, রূপকার ও মূর্তবিগ্রহ | তাঁর চিন্তা সে যুগের ও এ যুগের থেকে এত এগিয়ে যে তা পূর্ণ হৃদয়ঙ্গম করা অসম্ভব সাব্যস্ত হয়েছে |


প্রথমতঃ, স্বামীজীর জটিল ব্যক্তিত্ব, অনেকটা মানবসমাজের প্রতিফলিত রূপ, বিশ্ব ইতিহাসের স্তরে স্তরে সংঘাতের প্রতিফলন, অতীতের চৈতন্যের আধার, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা |

তাঁর চিন্তা এত সার্বিক, এত গভীর, এতই আপাতদৃষ্টিতে স্ববিরোধী অথচ গভীর মননে পূর্ণ সমন্বিত, সামঞ্জস্যপূর্ন যে স্বল্পবুদ্ধির মানুষ অথবা স্বার্থান্বেষী বুদ্ধিজীবির দল তাঁকে ঠিক বুঝে উঠতে পারবেন না | তাই দুটি সম্ভাবনা দেখা দেয় | এক, ভক্তিতে বিচারবিহীন আত্মসমর্পণ ও দুই, তাঁর সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ ও বিভ্রান্তি ছড়ানো যে তিনি ইত্যাদি, ইত্যাদি |


দ্বিতীয়তঃ, স্বামীজীর সমাজচেতনার সাথে ধর্মচেতনার বৈদান্তিক দিক দিয়ে কোন সংঘাত না থাকলেও বাস্তব জগতে প্রায়ই ঘটত | এই জন্য তাঁর কনিষ্ঠ সহোদর ডঃ ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের বিবেকানন্দবোধের সাথে স্বামীজীর প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ সংঘের সন্ন্যাসীদের বিবেকানন্দবেধের বিস্তর ব্যবধান থাকাটাই স্বাভাবিক ও কার্যক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে | স্বামীজীর সমাজচেতনার মধ্যে কমিউনিস্টরা মার্ক্সিয় চেতনার ছায়া দেখতে পান যদিও স্বামীজী অধ্যাত্মবাদি ছিলেন মর্মে মর্মে | এবিষয়ে বামপন্থিদের কারো কারো মুখে এমন কথাও শোনা যায় যে স্বামীজী ভারতবর্ষের তৎকালীন ধর্মভিত্তিক সমাজচেতনা দেখে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁর মানবমুক্তির পথকে ধর্মভিত্তিক করতে for men may make history but not as they choose to do it. পক্ষান্তরে রামকৃষ্ণ মিশন স্বামীজীর জীবন ও বাণী উদ্ধৃত করে প্রমাণ করেন যে স্বামীজী মোটেই অধ্যাত্মবাদকে সামাজিক স্বার্থে ব্যবহার করেন নি, বরং তিনি বৈদান্তিক অধ্যাত্মবাদকেই সমাজের আভ্যন্তরীণ সার বলে উপলব্ধি করেছিলেন তাঁর সাধনার দ্বারা | স্বামীজীকে বোঝার ক্ষেত্রে এই বিভ্রান্তি ঘটেছে তার কারণ বিবেকানন্দের বিরাট বুদ্ধির নাগাল পাননি তাঁর অনুৃধ্যানকারীরা | শুরুতেই বলেছি, জটিল ব্যক্তিত্ব বিবেকানন্দ, সহজ নয় বোঝা | ফলও অনুরূপ হয়েছে | এই সর্বাঙ্গিন বুদ্ধির অভাব থেকেই সম্প্রদায় সৃষ্টি হয় | স্বামীজী বলতেন, সাধারণ মানুষের বুদ্ধি একদেশদর্শী আর ব্রহ্মজ্ঞানীর বুদ্ধি সর্বগ্রাসী | তিনি নিজে ছিলেন মহা ব্রহ্মজ্ঞানী ও তাঁর মনীষা ছিল সর্বগ্রাসী | তাই তাঁকে বুঝতে গিয়ে এত মতান্তর |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)



Monday 18 October 2021

RESTRAINT, O MONK AND O HOUSEHOLDER, WHEN HINDUS SUFFER PERSECUTION IN BANGLADESH !


RESTRAINT, O MONK AND O HOUSEHOLDER, WHEN HINDUS SUFFER PERSECUTION IN BANGLADESH !


Must I remind RKM monks to refrain from self-promotion especially at this hour of genocide of Hindus in Bangladesh? Shameful! Also the general apathy among self-beautifying Hindus over Facebook Story. Disgusting! I hear even RKM, Chandpur has been vandalised thrice during the past week and Durga Puja disrupted there. When events are thus unfolding does it not become binding on responsible monks to refrain from self-advertisement at least now, self-promotion which some such do almost every day of the year? Does it not become an imperative for our so-called spiritual Gurus to stop commerce and do everything by way of protection of Hindus? What are Sadhguru and Sri Sri doing? What are our liberal intellectuals doing by way of lodging protest? In this scenario where is hope for Hindus where they are in a minority and face genocide? Why this apathy for our persecuted brethren in Bangladesh? Bangladesh burns from Islamic ire as Hindus are hounded, humiliated and hit by mob violence.


Written by Sugata Bose

জাগো, হিন্দু, জাগো 


জাগো, হিন্দু, জাগো 

-----------------------------


দেশের জাগরণ অলসের কাজ নয় | সৌভাগ্যক্রমে সকলে অলসও নন, দেশপ্রেমহীনও নন আর অপরের ঘাড়ে কর্তব্যের ভার চাপিয়ে দেওয়ার চালাকিও করেন না | এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ভক্তির ভণ্ডামি করেন না, সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর কৃপা ভিক্ষা করে নিজের ভক্তিমুক্তির ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থ করাকে জীবনের মুখ্য জ্ঞান করেন না | এঁরাই স্বামীজীর বীর সন্তান যাঁরা দেশের, দশের জন্য ভাবেন, যাঁরা স্বধর্মরক্ষার্থে তৎপর ও যাঁরা মূলতঃ সাহসী |


ঠাকুর বলতেন, "লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, এ তিন থাকতে নয় |" ঠাকুরের কৃপাভিখীরী যাঁরা তাঁদের এই মূলমন্ত্রটি মনে রাখতে হবে | শুধু ঠাকুরের পটের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ঠাকুরের প্রতি যথার্থ ভক্তি নয় | স্বামীজী 'স্বদেশমন্ত্রে' ভক্ত তাঁকে বলেছেন যিনি বীর | তাঁর বাণী, "হে বীর, সাহস অবলম্বন কর |" তাই ভক্তি মহাপ্রভুর ন্যায় মহাপুরুষের থাক | আমাদের জাগ্রত হোক হৃদয়ে সিংহসাহস, স্নায়ুতে ইস্পাতশক্তি আর প্রাণের প্রতিটি স্পন্দনে স্বদেশ, স্বধর্ম ও স্বজাতির প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও পরস্পর পরস্পরের প্রতি সহানুভূতির ঐক্যবন্ধন, সংহতির বজ্রসম ঐশ যোগ |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

AWAKE BEFORE THE CLOCK HAS STRUCK TWELVE


AWAKE BEFORE THE CLOCK HAS STRUCK TWELVE


Where foul principles lead, where intolerance in core content leads, where pretence thereafter, till power through numbers is consolidated, leads, we are all witnessing in broad daylight. And, yet, we daydream of peace from the warlike, of mercy from the murderous and of harmony with the intolerant, exclusive one. Ours is a folly and we must either wake up from it, resist and live, or pay for our indifference and cowardice to perish in the process. Which course we shall take will determine our future and our eventual fate. Glory unto oblivion! Glory unto devastating cowardice! Glory unto the meekness in man who has lost all semblance of manliness itself! And, last but not least of all, glory unto the betrayal we have done unto Swamiji who bled to give us manhood but failed miserably in the process! We are devotees, indeed! Ours is a destiny in destruction at the dastardly hands of demons.


Written by Sugata Bose

Sunday 17 October 2021

বাংলাদেশের বিবর্জিতা, জগতের গৌরব, ধার্মিকের শিক্ষার স্থল



বাংলাদেশের বিবর্জিতা, জগতের গৌরব, ধার্মিকের শিক্ষার স্থল

‐-----------------------------------------------------------------------------


তসলিমা নাসরীন নাস্তিক কিন্তু মানবতাবাদী, নির্ভিক, অকপট, অর্থাৎ, ধার্মিক | আর আমরা যাঁরা রামকৃষ্ণপন্থি বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করি, যুগাবতারের বাণী প্রচার করে আত্মপ্রসাদ পাই, আমরা হলাম আস্তিক কিন্তু কাপুরুষ, স্বার্থপর, চূড়ান্ত অধার্মিক | স্বামীজীর এই মানসকন্যাটি স্বামীজীর পাশেই স্থান পাওয়ার অধিকারিণী বলে মনে করি | তাই পাশেই প্রতিষ্ঠা করলাম এই নির্ভিক নারীকে যাঁকে দেখে কাপুরুষদের শিক্ষা নেওয়া উচিত অকপট সত্যভাষণ কিভাবে করতে হয় |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

স্বদেশমন্ত্র


স্বদেশমন্ত্র


প্রতিটি শব্দ মন্ত্র, অনুধ্যনযোগ্য | এঁর মধ্যে নিহিত আছে ভারতের ভবিষ্যৎসিদ্ধির মূলমন্ত্র, ভারত-ঐতিহ্যের সারাংশ | বাণীরূপে স্বামীজী এখানে মূর্ত ঘনীভূত ভারতবর্ষরূপে (Condensed India) | একদিন এই বাণীকে কেন্দ্র করেই ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল | আবার এই বাণীকে ভুলে গিয়েই ভারতের ঘটেছে ঘোর পতন | কিন্তু অমর, শাশ্বত এ বাণী তাঁর যুগান্তকারী অমোঘ শক্তি ধারণ করে হিমালয়সম আজও দণ্ডায়মান ভারত উদ্ধারকল্পে | তাই বিভ্রান্তিকর নাস্তিক্যবাদকে নিজজীবনে স্থান দেবেন না, ঋষিবাক্য শ্রবণ করুন ও স্বধর্মপালনে যত্নবান হন |

FOLLOW WHAT HE SAYS


FOLLOW WHAT HE SAYS


Follow this towering personality and do not subscribe to belittling talk about the Sanatan Dharma by shallow 'humanists' and 'secularists' whose only objective is upholding the banner of sense-enjoyment. Read Vivekananda and become men. Find out for yourselves what the Swami has to say about persecution done unto Hindus by the enemies of humanity, where stands liberalism, the orthodox and the heterodox on contentious issues of national life, how we must train ourselves to combat the evils of human society, the persecution of proselytising religions, the inhumanity of business barons -- the dollar-imperialists, the cruelty deriving from mummified social institutions and the glory of the pristine principles of the Vedic Dharma. Read, reflect, realise. Then put them into living practice in a calm, concentrated and coordinated way that will put these unconcerned atheists to shame, if they have any, when they fail to defend the Hindus even when they suffer genocide.


Written by Sugata Bose 

I AM ONE WITH THEM (IN SOLIDARITY WITH PERSECUTED HINDUS IN BANGLADESH)


I AM ONE WITH THEM

------------------------------------

(IN SOLIDARITY WITH PERSECUTED HINDUS IN BANGLADESH)


In their pain I am one with them.

In their devastated dreams I am one with them.

In their shattered hopes I am one with them.

I am one with all my sisters and brothers

In their desecrated worship,

In the early immersion of their aspirations,

In their dread and in their dear-bought flickering selves

That could like the flame in the breeze go out any moment

Leaving no trace behind but a memory, faint and far.

For once upon a time reigned here those

That now for mercy's sake plead,

The last of the remnants that remind the glory that was once

Before the killings separated brethren,

Split an integrated polity into a persecuting tribe

And a hunted lot of peaceful people.

Now it is no more a liberated land

But the field of foul foxes baying for blood,

The blood of innocents.

And in this final act of giving I am one with them.

If I cannot bring good cheer to my sisters and brothers,

If I cannot make them smile in their ceaseless hour of stress,

Let me shed a tear and in sufferance be one with them.


Composed by Sugata Bose