মোটের ওরর মোটা কথা ... ২
মোটের ওরর মোটা কথা ... ২
অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোয় নিয়ে আসার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করতে হবে | কিন্তু তা করতে গেলে তো আগে নিজেকে আলোয় নিয়ে আসতে হবে | নিজেই আলোর সন্ধান পেলাম না আর চেষ্টা করছি অপরকে আলোয় আনতে ? তা কেমন করে হবে ?
আগে আলোর সন্ধান নিজের জীবনে চাই | তার পর অন্যকে তার সন্ধান দেওয়া | নইলে, উপনিষদ বলছেন যে অন্ধ অন্ধকে পথ দেখাতে গেলে দুজনেই ভুল পথে ঘুরে মরবেন | তাই জ্ঞানের আলোটি নিজের দেহে, মনে, বুদ্ধিতে, হৃদয়ে, স্নায়ুতন্ত্রে আগে জ্বালানো চাই | তবেই হবে |
কিন্তু আলো কোথায় আর কেমন ভাবেই বা তা জ্বালব ? উপায় আছে আর তা আছে আমাদের দেহের মধ্যেই | মানুষের এই শরীর এক আশ্চর্য জৈব যন্ত্রবিশেষ | এর মধ্য ভরা আছে সব জ্ঞান লাভ করার ব্যবস্থা | খুঁজতে হবে | খুঁজলেই পাওয়া যাবে |
মেরুদণ্ডের মধ্য আছে তিনটি নাড়ী -- ঈড়া, পিঙ্গলা আর সুষুম্না | এমনিতে স্নায়ুর কাজ চলে ঈড়া আর পিঙ্গলা দিয়ে | সুষুম্নাটি রুদ্ধ থাকে | কিন্তু যোগসাধনার দ্বারা এই রুদ্ধ পথ খোলা যায় | মহাশক্তি কুণ্ডলি পাকিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছেন এই সুষুম্নার নিম্নমুখে | তাঁকে জাগাতে হবে | তখন জাগ্রতা শক্তি এই সুষুম্না নাড়ী বেয়ে উঠতে থাকবে আর ছ'টি চক্র ভেদ করে শেষে মাথায় উঠবে | তখন নির্বিকল্প সমাধি, ব্রহ্মজ্ঞানলাভ | সব জানা হল | জ্ঞানের আর অভাব রইল না | এখন লোকশিক্ষা |
লেখক : সুগত বসু (Sugata Bose)
আলোকচিত্র : শিকাগো ধর্মমহাসভায় স্বামীজী |
No comments:
Post a Comment