ভেবে দেখুন ... ৫
-----------------------
একটি অনুরোধ
-----------------------
পরিষেবা বন্ধ রাখা এবার সর্বতভাবে বন্ধ হোক, নইলে চিকিৎসককুল কলঙ্কিত হবেন এই বঙ্গদেশের ইতিহাসে | সব আন্দোলনের একটি জনসহানুভূতির পরিপ্রেক্ষি থাকে আর থাকে কালের সীমারেখা | তা অতিক্রম করলেই সর্বসাধারণের সহানুভূতি হারাতে হয় এবং সেইখানেই হয় সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরাজয় | পরিমাপজ্ঞানই লোকধর্মের ভিত্তিভূমি | তার উল্লঙ্ঘনে আন্দোলননীতিবিবর্জিত যথেচ্ছাচার হয় ও পরিশেষে জনরোষের সম্মুখীন হয়ে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় | এটি অনুধাবনযোগ্য |
এখনও জনতা চিকিৎসকগণের নিগৃহিত হওয়ার জন্য তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল কিন্তু এ ভাব পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে | অসহায় মানুষ, শিশু, বৃদ্ধ, রোগে জর্জরিত, ক্লীষ্ট, পীড়িত অগণিত নিরপরাধ মাশুল দিয়ে চলেছেন প্রশাসনিক অব্যবস্থার জন্য | এর জন্য তো নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের ওপর অত্যাচার করা চলে না | এ কেমন মানসিকতা চিকিৎসকদের যে তাঁরা শুধু নিজেদের স্বার্থই দেখছেন আর যাঁদের পরিষেবা দেওয়ার শপথ নিয়েছেন হিপোকৃটিসের নামে, তাঁদের যন্ত্রণা ও মৃত্যুর কবলে ঠেলে দিচ্ছেন, তাঁদের মর্মান্তিক ক্লেশের কথা একবারও ভাবছেন না ? চিকিৎসককুল সুবিচার পাবেন, এই হেতু অনবরত আন্দোলন রোগীর প্রতি অবিচার বলে কি পরিগণিত হবে না ?
চিকিৎসক যেমন মানুৃষ, রোগীও তেমনিই মানুষ | এর মধ্যে জাতি বিভাজন করা ন্যায়সঙ্গত নয় | উভয়দিকেই মানুষের ক্ষয় | তাই বলছি, এবার এই রক্তক্ষয়ী লীলাসংঘটন বন্ধ হোক ও সামঞ্জস্য ফিরে আসুক রাজ্যে | প্রশাসন, দ্রুত নত হোন চিকিৎসকদের নিকট তাঁদের সুরক্ষা না দিতে পারার জন্য ও চিকৎসকগণ, আপনারাও রোগীর কষ্ট অনুভব করার চেষ্টা করুন ও অবিলম্বে পরিষেবা দিতে যত্নবান হোন | এতে আপনাদের সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকবে, নতেৎ, তা ধূলায় মিশে যাবে | জনতার সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তির কাছে আপনারা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হবেন | যাতে সে অবস্থা না উপনীত হয় ও সসম্মানে আপনারা সুবিচার ও সুরক্ষা পাওয়ার প্রশাসনিক প্রতিশ্রতি পান কর্মে যোগদান করার পর, সেইদিকেই অগ্রসর হোন | এতেই সর্বকল্যাণ সাধিত হবে, এতেই সকলের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী মঙ্গল |
রচয়িতা : সুগত বোস (Sugata Bose)
-----------------------
একটি অনুরোধ
-----------------------
পরিষেবা বন্ধ রাখা এবার সর্বতভাবে বন্ধ হোক, নইলে চিকিৎসককুল কলঙ্কিত হবেন এই বঙ্গদেশের ইতিহাসে | সব আন্দোলনের একটি জনসহানুভূতির পরিপ্রেক্ষি থাকে আর থাকে কালের সীমারেখা | তা অতিক্রম করলেই সর্বসাধারণের সহানুভূতি হারাতে হয় এবং সেইখানেই হয় সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরাজয় | পরিমাপজ্ঞানই লোকধর্মের ভিত্তিভূমি | তার উল্লঙ্ঘনে আন্দোলননীতিবিবর্জিত যথেচ্ছাচার হয় ও পরিশেষে জনরোষের সম্মুখীন হয়ে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় | এটি অনুধাবনযোগ্য |
এখনও জনতা চিকিৎসকগণের নিগৃহিত হওয়ার জন্য তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল কিন্তু এ ভাব পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে | অসহায় মানুষ, শিশু, বৃদ্ধ, রোগে জর্জরিত, ক্লীষ্ট, পীড়িত অগণিত নিরপরাধ মাশুল দিয়ে চলেছেন প্রশাসনিক অব্যবস্থার জন্য | এর জন্য তো নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের ওপর অত্যাচার করা চলে না | এ কেমন মানসিকতা চিকিৎসকদের যে তাঁরা শুধু নিজেদের স্বার্থই দেখছেন আর যাঁদের পরিষেবা দেওয়ার শপথ নিয়েছেন হিপোকৃটিসের নামে, তাঁদের যন্ত্রণা ও মৃত্যুর কবলে ঠেলে দিচ্ছেন, তাঁদের মর্মান্তিক ক্লেশের কথা একবারও ভাবছেন না ? চিকিৎসককুল সুবিচার পাবেন, এই হেতু অনবরত আন্দোলন রোগীর প্রতি অবিচার বলে কি পরিগণিত হবে না ?
চিকিৎসক যেমন মানুৃষ, রোগীও তেমনিই মানুষ | এর মধ্যে জাতি বিভাজন করা ন্যায়সঙ্গত নয় | উভয়দিকেই মানুষের ক্ষয় | তাই বলছি, এবার এই রক্তক্ষয়ী লীলাসংঘটন বন্ধ হোক ও সামঞ্জস্য ফিরে আসুক রাজ্যে | প্রশাসন, দ্রুত নত হোন চিকিৎসকদের নিকট তাঁদের সুরক্ষা না দিতে পারার জন্য ও চিকৎসকগণ, আপনারাও রোগীর কষ্ট অনুভব করার চেষ্টা করুন ও অবিলম্বে পরিষেবা দিতে যত্নবান হোন | এতে আপনাদের সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকবে, নতেৎ, তা ধূলায় মিশে যাবে | জনতার সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তির কাছে আপনারা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হবেন | যাতে সে অবস্থা না উপনীত হয় ও সসম্মানে আপনারা সুবিচার ও সুরক্ষা পাওয়ার প্রশাসনিক প্রতিশ্রতি পান কর্মে যোগদান করার পর, সেইদিকেই অগ্রসর হোন | এতেই সর্বকল্যাণ সাধিত হবে, এতেই সকলের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী মঙ্গল |
রচয়িতা : সুগত বোস (Sugata Bose)
No comments:
Post a Comment