'জয় গুরু!'
সবাই চায় গুরু হতে,
কেউ হবে না শিষ্য |
তাইত গুরুর ছড়াছড়ি,
শিষ্যরা সব নিঃস্ব |
কেউ বা আবার বদগুরু,
নাম নিয়ছে সদ |
কেউ বা চাঁদের অমাবস্যা,
রবির কিরণ রদ |
কেউ বা বাপু, কেউ শ্রীশ্রী,
কেই মাতা, কেউ সাঁই,
কেউ ভগবান, কেউ অবতার,
কেউ তো ভক্ত নাই ?
এক যে ছিল পরমহংস,
তার নেইকো জুড়িজাড়ি |
কর্তা, বাবা, গুরু বললে
গুটোতো পাততাড়ি |
তার সে চেলা, বিবেকভায়া,
মস্ত বড় ঋষি |
বলে, দেখব গিয়ে কালীর খোকা
পাগলা বামুন দিশী |
আমি হলাম মিল, স্পেন্সর,
হ্যামিলটনের সাধক,
জানে কি ওই বৃদ্ধবামুন
এ নরেন সিমলেপাড়ার বাদক?
পারে যদি জবাব দিতে,
ওটা বাঁচবে তাহলে |
না পারলে বাছাধনের
কানটি দিব মলে |
শুনেছি, জানে ওটা ব্রহ্মতত্ত্ব,
শিখে নেব তাই |
এর বেশী আর কিই বা দেবে ?
ওর কিছুই তো জানা নাই |
এইটি ভেবে বাবু নরেন
দিলেন কালীধামে পারি |
দেখি কেমনতর পরমহংস,
ও তার কোন প্রদেশে বাড়ী |
পশ্চিমের ওই দরজা দিয়ে
অালুথালু বেশে,
কার খোঁজেতে আত্মস্থ,
এলো নরেন শেষে |
আচম্বিতে প্রশ্ন হানে,
"মশায়, দেখেছেন ঈশ্বর ?"
মুচকী হেসে ঠাকুর কহেন,
"তোকেও দেখাব এরপর |"
এই না বলে, ঘরের পারে
দখিণ বারান্দায়,
নিলেন ঠাকুর হাতটি ধরে
অসীম করুণায় |
''বাছা, এতদিন পর এলে?
জানি তুমি নরঋষি, নরনারায়ণ,
জীবের দুঃখে এসেছ মর্তে
করিবারে নিবারণ |"
পাগল ঠাকুর কাঁদে |
নিজের হাতে খাওয়ায় মিঠাই,
নরেন পড়ে ফাঁদে |
বলে, "যাই, ঘরে যাই |"
"মিঠাইগুলো দিন তো হাতে,
বন্ধুসমেত খাই |"
"আরে, ওদের জন্য রাখা আছে,
তোর ভাবনা কোনো নাই |"
নরেন ভাবে মনে |
একি পাগল দেখতে এলাম, সপ্তঋষি কয়?
এবার পেলে ছাড়া অার
এদিকপানে নয় |
পাগল ঠাকুর ঘরে ফিরে
সহজ হলেন তায়,
ভাবের গতিক একটুও নয়
চরম সীমানায় |
সহজ হলেন তায়,
ভাবের গতিক একটুও নয়
চরম সীমানায় |
নরেন ফেরে ঘরে |
মগজটা যে গুলিয়েছে তার
পরমহংসের তরে |
এখন মাথায় বড় ভার |
এই ভেবে সে একক এবার
হংসপথে যায়,
মনের ধন্দ নিরসনের
এবার অভিপ্রায় |
হাঁটতে হাঁটতে বেলা গড়ায়,
গলদঘর্ম কায় |
পথ হারিয়ে আসে শেষে
পরমহংসের পায়ে |
এবার মজার খেলা শুরু |
এবার বুঝি ঠিক হবে
কে শিষ্য কে বা গুরু |
বাবাজীবন, এই তো শুরু সবে |
হঠাৎ ঠাকুর দিলেন ছুঁয়ে,
সব শূণ্যে মিলায় একি ?
দিগ্বিদিক যে বিলয় হল
মরছি যে হায় দেখি !
ওগো তুমি করো একি,
বাপ মা আছে ভাই |
পাগল ঠাকুর হেসে বলেন,
তবে এখন আর কাজ নাই |
মগজটা যে গুলিয়েছে তার
পরমহংসের তরে |
এখন মাথায় বড় ভার |
এই ভেবে সে একক এবার
হংসপথে যায়,
মনের ধন্দ নিরসনের
এবার অভিপ্রায় |
হাঁটতে হাঁটতে বেলা গড়ায়,
গলদঘর্ম কায় |
পথ হারিয়ে আসে শেষে
পরমহংসের পায়ে |
এবার মজার খেলা শুরু |
এবার বুঝি ঠিক হবে
কে শিষ্য কে বা গুরু |
বাবাজীবন, এই তো শুরু সবে |
হঠাৎ ঠাকুর দিলেন ছুঁয়ে,
সব শূণ্যে মিলায় একি ?
দিগ্বিদিক যে বিলয় হল
মরছি যে হায় দেখি !
ওগো তুমি করো একি,
বাপ মা আছে ভাই |
পাগল ঠাকুর হেসে বলেন,
তবে এখন আর কাজ নাই |
দিলেন হাত বুলিয়ে বুকে |
যেমন সব ছিলো আগে,
তেমনি আছে সুখে |
নরেন সাম্ভবিরূপ জাগে |
এবার তৃতীয় অবস্থান |
নরেন লয়ে ঠাকুর চলেন
যদুর বাটি বাগান |
সম্মোহনে বলেন,
বল দেখি তুই কোথায় ছিলি
কোন মুলুকে ঘর ?
কেনই বা তায় হেথায় এলি
কি করবি অতঃপর ?
রইবি কদিন মর্তধামে,
ফিরবি কবে বল ?
সঠিক সবের জবাব দিল
বিগ্রহ অচল |
নরেন, ও তার ইন্দ্রীয় বিকল |
হেদোর গেটে মাথা ঠোকে,
বলে, "ব্রহ্ম কি তুই, বল ?"
অবাক হল লোকে !
এই ভাবেতেই চলল কয়েক
মাসের ঠিকানা,
যুক্তি গেল তলিয়ে,
ও যে হংসনিশানা |
পরমহংসের সমাধি হয়,
ভাবল ফিটের ব্যামো |
তাইতো শিবে বেহেড বলে,
বলে, বাস্তবেতে নামো |
সেই সমাজে নরেনবাবু
করেন যাতায়াত,
কন্ঠ মধুর, ব্রহ্মগানে
আসর করেন মাত |
এবার পরমহংসের পালা --
খণ্ডবুদ্ধি নরেন
হল মস্ত বড় জ্বালা |
বলে মশাই, কোন ভাবে কি করেন ?
বলে, মনটা তোমার ভুলো
সব দেখেছে ভুল |
তাই তো এবার বিচার করে
করব তা নির্মূল |
হয় কি প্রভু মাটির পুতুল ?
তাই কখনো হয় ?
ও সব তোমার মাথার খেয়াল,
জানিও নিশ্চয় |
যেমন সব ছিলো আগে,
তেমনি আছে সুখে |
নরেন সাম্ভবিরূপ জাগে |
এবার তৃতীয় অবস্থান |
নরেন লয়ে ঠাকুর চলেন
যদুর বাটি বাগান |
সম্মোহনে বলেন,
বল দেখি তুই কোথায় ছিলি
কোন মুলুকে ঘর ?
কেনই বা তায় হেথায় এলি
কি করবি অতঃপর ?
রইবি কদিন মর্তধামে,
ফিরবি কবে বল ?
সঠিক সবের জবাব দিল
বিগ্রহ অচল |
নরেন, ও তার ইন্দ্রীয় বিকল |
হেদোর গেটে মাথা ঠোকে,
বলে, "ব্রহ্ম কি তুই, বল ?"
অবাক হল লোকে !
এই ভাবেতেই চলল কয়েক
মাসের ঠিকানা,
যুক্তি গেল তলিয়ে,
ও যে হংসনিশানা |
পরমহংসের সমাধি হয়,
ভাবল ফিটের ব্যামো |
তাইতো শিবে বেহেড বলে,
বলে, বাস্তবেতে নামো |
সেই সমাজে নরেনবাবু
করেন যাতায়াত,
কন্ঠ মধুর, ব্রহ্মগানে
আসর করেন মাত |
এবার পরমহংসের পালা --
খণ্ডবুদ্ধি নরেন
হল মস্ত বড় জ্বালা |
বলে মশাই, কোন ভাবে কি করেন ?
বলে, মনটা তোমার ভুলো
সব দেখেছে ভুল |
তাই তো এবার বিচার করে
করব তা নির্মূল |
হয় কি প্রভু মাটির পুতুল ?
তাই কখনো হয় ?
ও সব তোমার মাথার খেয়াল,
জানিও নিশ্চয় |
ওরে লরেন, মাটি কি রে ?
মা যে চিন্ময় |
লড়েন, চড়েন, কথা করেন,
তাই তো অমন হয় |
না, না, মশাই, ও কিছু নয়,
ও সব মনের যত ভুল |
স্নায়ুর চাপে আছেন,
ও তাই ভ্রান্তি সমতুল |
ঠাকুর গেলেন কালীঘরে |
মা, লরেন তো সত্য কথা কয় |
তবে কি মা জীবনভোর ভুল দেখলাম,
এই কি পরিচয় ?
না রে না, ও ছেলেমানুষ,
কি বা বোঝে ও ?
মানবে সবই সময় হলে,
সত্য খোঁজে ও |
তাই শুনে ঠাকুর,
স্বস্তি ফেলেন শেষে |
বলেন, শালা কথা তোর আর
মানব না নিমেষে |
নরেন তবু ছাড়ে না তার
পরিক্ষকের পালা,
রাখল টাকা তোশকতলে,
দেখবে ধাতুর জ্বালা |
পরমহংস জানে না তার
তোশকতলে কি,
বসেই খাটে উঠল জ্বলে
অতি শুদ্ধ তনুটি |
বলেন, এ শালা ওই নরেনের কাজ,
বাজিয়ে নিতে চায় |
টেস্টো করবে নানান ভাবে,
মানবে তবে তায় |
মা যে চিন্ময় |
লড়েন, চড়েন, কথা করেন,
তাই তো অমন হয় |
না, না, মশাই, ও কিছু নয়,
ও সব মনের যত ভুল |
স্নায়ুর চাপে আছেন,
ও তাই ভ্রান্তি সমতুল |
ঠাকুর গেলেন কালীঘরে |
মা, লরেন তো সত্য কথা কয় |
তবে কি মা জীবনভোর ভুল দেখলাম,
এই কি পরিচয় ?
না রে না, ও ছেলেমানুষ,
কি বা বোঝে ও ?
মানবে সবই সময় হলে,
সত্য খোঁজে ও |
তাই শুনে ঠাকুর,
স্বস্তি ফেলেন শেষে |
বলেন, শালা কথা তোর আর
মানব না নিমেষে |
নরেন তবু ছাড়ে না তার
পরিক্ষকের পালা,
রাখল টাকা তোশকতলে,
দেখবে ধাতুর জ্বালা |
পরমহংস জানে না তার
তোশকতলে কি,
বসেই খাটে উঠল জ্বলে
অতি শুদ্ধ তনুটি |
বলেন, এ শালা ওই নরেনের কাজ,
বাজিয়ে নিতে চায় |
টেস্টো করবে নানান ভাবে,
মানবে তবে তায় |
No comments:
Post a Comment