Monday 19 December 2022

যোগের মাঝে বিশ্লেষণের বিয়োগ আনেন কেন?


যোগের মাঝে বিশ্লেষণের বিয়োগ আনেন কেন?

-------------------------------------------------


ঠাকুর আর আপনার মাঝে কোন মধ্যবর্তীর ব্যবধান রাখবেন না | ভগবান নিজে ধরায় এলেন ধরা দিতে | কেন তবে মানুষের, মহারাজের, সংঘের ব্যাখ্যার ব্যবধান খাড়া করেন তাঁর ও আপনার মাঝে অযথা? সর্ব ব্যবধান চুকিয়ে ফেলুন | তিনি ধরা দিতে চান সহজে | তাঁকে সহজ করে নিন নিজের করে | তবেই হবে, অবশ্য হবে | ইতিহাসের পাতায় আছেন তিনি; আপনার চিত্তে, চেতনায়, চৈতন্যে আছেন তিনি | এই তো যথেষ্ট, অর্থাৎ, যথা ইষ্ট | আবার কি? ওই ওতেই হবে | মধ্যবর্তী দিয়ে, মত-মতান্তর দিয়ে, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়ে গোল করবেন না | সহজ সরল মানুষটিকে হারাবেন, নিজেকেও, তাঁকেও | অতএব, ঋষি হতে চান তো ঋজু হ'ন | 


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)


পুনশ্চ: এর সাথে সদগুরুর কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেওয়ায় কোন বাধা নেই, বিরোধও নেই | তা অবশ্যই নিতে পারেন আধ্যাত্মিক অগ্রগতির জন্য | সাধুসঙ্গও অবশ্যই করবেন | কিন্তু নিজের মনের ভাবটি যেন অন্যের প্রভাবে হারিয়ে না ফেলেন, স্বকীয়তা যেন বজায় থাকে | মূল কথা, আদি ভাবটি হারাবেন না | ঠাকুরকে ঠাকুরের কাছ থেকেই জেনে নিন, আর কারও কাছ থেকে নয় | তিনি জানিয়ে দেবেন নিজেই | তাঁর সহকারীর, সচিবের প্রয়োজন হয় না ভক্তের ভালবাসায় সাড়া দিতে | ঠাকুরকে আদিতে ধরুন -- তিনি গ্রাম্য মানুষ, শহুরে মানুষ, পূজারী, ভক্ত, গুরু, ভগবান, লীলাময়, ছদ্মবেশী রাজা, ঠিক যেমনটি ছিলেন |

No comments:

Post a Comment