আজ দেবীপক্ষের সূচনাতে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর-বীরাঙ্গনাদের প্রাণের প্রণাম জানাই | তাঁরা অসুরনাশে রণচণ্ডিকার সুযোগ্য সন্তানের কর্তব্য সম্পাদন করেছিলেন যার অযোগ্য উত্তরসূরী আমরা, ক্লীবের ন্যায় আত্মসমর্পণ শুধু নয়, নির্লজ্জের ন্যায় অসুরপ্রতিম নেতানেত্রীর দাসত্ব স্বীকার করে সেই সব প্রাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষের, মহানারীর, বীর, বীরাঙ্গনার চরমতম অসম্মান, অপমান করেছি | আজ মহালয়ার পুণ্যলগ্নে আসুন প্রায়শ্চিত্ত করি সেই অপরাধের, পবিত্র হই দেবীর স্মরণে, পূর্বপুরুষের অপার্থিব ত্যাগের স্মৃতিচারণ করে |
অসুর সে যুগেও ছিল, আজও আছে | দেবতারা স্বর্গরাজ্য হারিয়ে দেবীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন | আজ আমরা আবার অসুরকুলের দ্বারা চারিদিক হ'তে আক্রান্ত, আমাদের মৌলিক অধিকার অনেকাংশেই হৃত | আমাদেরও কর্তব্য এই অসুরকুলকে বিনাশ করা | তার জন্য আসুন আমরাও দেবীর, আমাদের মায়ের শরণ নি | তাঁর নিরন্তর স্মরণই তাঁর শ্রেষ্ঠ শরণ | তৎপরে মহাবীর্য প্রদর্শন | তার জন্য চাই সংযম, শক্তিসঞ্চয় ও শক্তিসাধন |
মা সে যুগে অসীম মহিমময়ী তিলোত্তমা দূর্গারূপে আবির্ভূতা হয়েছিলেন অশুভ শক্তির দমনের জন্য | ১৮৫৩ সালে সেই আদ্যাশক্তি মা আবার আমাদের জননীরূপে পুনরাবির্ভূতা হয়েছেন যুগধর্মসংস্থাপননিমিত্ত | তাঁর আরাধনাই এখন শ্রেষ্ঠ পূজা | তবে ক্লীবের ন্যায় নয়, বাসনাপ্রেরিত লোভীর ন্যায় নয়, বীরের ন্যায়, বীরাঙ্গনার ন্যায় | নইলে অসুরের অত্যাচার রোধ করবে কে ? কে করবে তিলোত্তমার যথার্থ আরাধনা ?
No comments:
Post a Comment