Sunday 25 June 2023

আরো আছে আস্তিক ব্যাকরণের বাইরে


আরো আছে আস্তিক ব্যাকরণের বাইরে

-----------------------------------------


যাঁর যত বড় ধারণাশক্তি, তিনি তত বড় আস্তিক | চিন্তার প্রসারতা, চিন্তার গভীরতা, চৈতন্যের ব্যাপ্তিই আস্তিক্যবুদ্ধির পরিচায়ক | নিছক কল্পিত ঈশ্বরকে কে বিশ্বাস করলেন আর কে না করলেন, তার দ্বারা আস্তিক্য নির্নীত হতে পারে না | সকলেই সেই পরম লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন |


চৈতন্যরাজ্যের বিবর্তনের চক্রে যিনি যতটা এগিয়েছেন, তিনি তত বড় অস্তিত্ববুদ্ধি তথা আস্তিক্যবুদ্ধিসম্পন্ন---তা তিনি জানুন বা না জানুন | তাই বড় বড় তথাকথিত নাস্তিক দার্শনিক ও চিন্তানায়ক প্রকৃতপক্ষে পরমতত্ত্বের সম্যক উপলব্ধি করে আস্তিক্যে স্থীত হতে না পারলেও, তাঁরা সেই লক্ষ্যাভিমুখে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছেন | তাই তাঁদের আস্তিক্যবুদ্ধি এযাবৎ প্রচ্ছন্ন থাকলেও, তা অধিক বিকশিত জীবনের নানা কর্মে যা কালক্রমে পূ্র্ণতাপ্রাপ্ত হয়ে তাঁদের স্বীয় আত্মিক অমরত্বরের জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত করবে সাধারণ স্বল্পধী আস্তিকসকলের অনেক আগে |


নিছক নিম্নবৃত্তিসম্পন্ন মানুষ শুধুমাত্র 'ঈশ্বর', 'ঈশ্বর' করেন বলেই আস্তিক আর এই সকল মহামানব, যাঁরা সভ্যতার তরণীর কাণ্ডারী, মানবসমাজের দিশারী, তাঁরা অতিন্দ্রিয় কিছু মানেন না বলেই নাস্তিক, এ কথা যদি বা ব্যাকরণগতভাবে সত্য হয়ও, তবু প্রকৃত বৈদান্তিক অর্থে একপ্রকার সত্য নয় | চিন্তার ও ভাবের প্রসারতা ও গভীরতা, ধীশক্তি, সূক্ষ্মবুদ্ধি, হৃদয়ের উৎকর্ষ ও প্রেমের ব্যাপ্তি---এই বৃত্তিসকলই আস্তিকতার সম্যক নির্ণায়ক, প্রকৃত পরিচয় |


রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)

No comments:

Post a Comment