এক দুরূহ তত্ত্ব
এক দুরূহ তত্ত্ব
●●●●●●●●●●
ভগবানের সাকার রূপও সত্য | সমস্ত ব্রহ্মাণ্ড নির্গুণ নিরাকার পরব্রহ্মের বহুধাবিভাজিত চৈতন্যময় প্রকাশ | সমাধি হতে বুত্থানকালে এই স্বতঃপ্রকাশ দর্শন হয় | অদ্বয় চৈতন্যলোকে অবস্থানকালে এক অসীম অনন্তকালব্যাপী পরিব্যাপ্ত একাকীত্বের বোধ হয় যার দ্বৈতভান অসম্ভব বলে প্রতীত হয় | তখন অখণ্ডচিত্তে এই ভাবমন্ত্রের উদ্ভাস হয়---'ইয়ো একোহম্ বহুশ্যাম |' ( 'আমি এক, আমি বহু হব |' ) তৎক্ষণাৎ বহুত্বের প্রকাশ শুরু হয়ে যায় আর এই বহুত্ববিশিষ্ট জীবজগৎ তথা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি মানসলোকে প্রতীত হয় | এ এক অদ্ভূত রহস্য কেমন করে নির্গুণ তত্ত্ব সগুণ হয়, নিরাকার হতে সাকার প্রকাশিত হয় | এরই নাম 'মায়া' যার নিয়ন্ত্রী সাক্ষাৎ 'আদ্যাশক্তি মহামায়া' যাঁর ইচ্ছায় জগতসংসার ক্রীড়াপুত্তলিকার ন্যায় চলে | এই জগতরূপ প্রকাশের তত্ত্ববোধ এক দুষ্কর ব্যাপার যা জড়বিজ্ঞানী ও অধ্যাত্মবিজ্ঞানীকে ভাবিয়ে চলেছে কত সহস্র বর্ষ ধরে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি সমস্যার আজও | দুরূহ ব্যাপার, প্রায় দুর্বোধ্য কিন্তু সমাধিভূমিতে স্বচ্ছপ্রকাশিত অপরোক্ষ-পরোক্ষের সন্ধিস্থলে | চাই পুরুষকারসহায়ে সাধনা, ঈশ্বরে সম্পূর্ণ শরণাগতি ও ঈশ্বরকৃপা | তবে সিদ্ধি, সমাধি, বোধ ও স্বচ্ছ ধারণা, যতটা সম্ভব এই মায়িক জগতে |
রচয়িতা : সুগত বসু (Sugata Bose)
No comments:
Post a Comment